প্রশান্ত কিশোর ও জগনমোহন রেড্ডি। —ফাইল চিত্র
প্রধানমন্ত্রী হতে গিয়ে নিজের মুখ্যমন্ত্রিত্বের গদিও খুইয়েছেন চন্দ্রবাবু নায়ডু। গোটা অন্ধ্রপ্রদেশে কার্যত ধুয়ে মুছে সাফ তেলুগু দেশম পার্টি। নতুন শক্তি হিসেবে উঠে এল ওয়াইএসআর কংগ্রেস পার্টি। মুখ্যমন্ত্রীর গদিতে বসতে চলেছেন অন্ধ্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওয়াইএস রাজশেখর রেড্ডির ছেলে জগনমোহন রেড্ডি। জগনমোহনের এই উত্যুঙ্গ সাফল্যের অন্তরালে আবারও চাণক্যর ভূমিকায় প্রশান্ত কিশোর। সেই প্রশান্ত কিশোর, যিনি বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে এনে দিয়েছেন একের পর এক রাজনৈতিক সাফল্য।
অন্ধ্রপ্রদেশে লোকসভা এবং বিধানসভা নির্বাচন এক সঙ্গে হয়েছে। লোকসভায় ২৫টি আসনের সবকটিতেই জিতেছেন জগনের প্রার্থীরা। আর বিধানসভার ১৭৫ আসনের মধ্যে ১৫০টিতে জয়ী ওয়াইএসআরসিপি প্রার্থীরা। শুধু অন্ধ্রের এই জয়ই নয়, সংসদেও এখন তৃতীয় বৃহত্তম দল (বিজেপি এবং কংগ্রেসের পরেই) জগনমোহনের ওয়াইএসআরসিপি। এই বিপুল জয়ের পরই প্রশান্ত কিশোর ধন্যবাদ জানিয়ে টুইট করেছেন, ‘‘এই জয়ের জন্য অন্ধ্র এবং ইন্ডিয়ান পলিটিক্যাল অ্যাকশন বা আই-পিএসির (প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা) সহকর্মীদের ধন্যবাদ। নতুন মুখ্যমন্ত্রীকে অভিনন্দন ও আন্তরিক শুভেচ্ছা।’’
অথচ কিছুদিন আগেও প্রশান্ত কিশোরের জন্য পরিস্থিতি এত সহজ ছিল না। নীতীশ কুমারের হয়ে দীর্ঘদিন রাজনৈতিক কৌশল রূপায়ণ এবং বাস্তবায়ন করেছেন তিনি। নীতীশও প্রশান্ত কিশোরের একের পর এক মাস্টারস্ট্রোকে ভর করে পৌঁছে গিয়েছেন সাফল্যের শিখরে। কিন্তু লোকসভা ভোটের হাওয়া উঠতেই শুরু হয় টানাপোড়েন। নীতীশের দল জেডিইউ বিজেপি তথা এনডিএ জোটে শামিল হওয়া নিয়ে দু’জনের মধ্যে মতবিরোধ কার্যত চরমে ওঠে। জোটে শামিল করে বিজেপি যে ধীরে ধীরে জেডিইউ-কে গ্রাস করতে চাইছে, এমন মতবাদ নীতীশকে বোঝাতে চেয়েছিলেন প্রশান্ত কিশোর। কিন্তু নীতীশ এই মতের সঙ্গে সহমত ছিলেন না। তার জেরে শেষ পর্যন্ত প্রশান্ত কিশোরকে সরে যেতেই হয়।
আরও পডু়ন: সকালেই আডবাণী, জোশীর বাড়িতে মোদী, বললেন, ‘আপনাদের জন্যই সাফল্য’
আরও পডু়ন: বাইরে তৃণমূল ভিতরে বিজেপি, এটাই ছিল ছক
এই সুযোগটাই নিয়েছিলেন অন্ধ্রের জগনমোহন। প্রশান্ত কিশোরের ক্ষুরধার রাজনৈতিক মস্তিষ্ককে পুরোদমে কাজে লাগান জগন। আর তাতেই বাজিমাত। জগন ঝড়ে কার্যত খরকুটোর মতো উড়ে গিয়েছে চন্দ্রবাবুর তেলুগু দেশম পার্টি। নেপথ্যের নায়ক প্রশান্ত কিশোর। ঘনিষ্ঠ মহলে প্রশান্ত জানিয়েছেন, এই জয়ের পর অন্য অনেক দলও তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে শুরু করেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy