—প্রতীকী চিত্র।
দিদিকে বাঁচাতে পুকুরে ঝাঁপ দিয়েছিলেন দুই বোন। দিদি-সহ তিন জনেরই মৃত্যু হল জলে ডুবে। তিন বোন সাঁতারে অপটু ছিলেন। তাই জলে নেমে খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি। তিন বোনের মৃত্যু পাড়ে দাঁড়িয়ে অসহায় ভাবে দেখলেন তাঁদের বাবা।
ঘটনাটি কেরলের পালক্কাড় জেলার। মৃতেরা হলেন নাশিদা (২৬), রামিশা (২৩) এবং রিনশি (১৮)। বড় দুই বোনই বিবাহিত। তাঁরা ছুটি কাটাতে বাপের বাড়ি এসেছিলেন। তিন বোন মিলে পুকুরে স্নান করতে যাবেন ঠিক করেন। সেখানেই ঘটে বিপত্তি।
স্নান করার সময় এক জন পিছলে পড়ে যান। পুকুরের গভীরে তলিয়ে যান তিনি। চোখের সামনে তাঁকে পড়ে যেতে দেখে বাকি দুই বোনও জলে ঝাঁপ দেন। কিন্তু বোনকে উদ্ধার করতে পারেননি তাঁরা। উল্টে নিজেরাও তলিয়ে যান।
স্থানীয় সূত্রে খবর, তিন তরুণীর বাবা ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু তিনিও সাঁতার জানতেন না। তাই কন্যাদের চোখের সামনে জলে ডুবে যেতে দেখেও তিনি কিছুই করতে পারেননি। অসহায় ভাবে কেবল ছটফট করেছেন।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত কয়েক জন শ্রমিক তিন তরুণীকে ডুবে যেতে দেখে লোক জড়ো করেন। সকলে মিলে তরুণীদের জল থেকে টেনে তোলেন। তাঁদের দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু কাউকেই বাঁচানো যায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy