অনেক দিনই ভুগছিলেন অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসারে। গত ক’দিন ধরে শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি হচ্ছিল। রবিবার রাত আটটা নাগাদ রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের দফতর সূত্রে ঘোষণা করা হয়, গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী এবং দেশের প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পর্রীকরের মৃত্যু হয়েছে। বয়স হয়েছিল ৬৩। নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ, রাহুল গাঁধী, প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ দেশের সব স্তরের রাজনৈতিক নেতৃত্ব তাঁর মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন। আগামিকাল দেশ জুড়ে রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। কালই শেষকৃত্য হবে।
গত বছর ফেব্রুয়ারিতে ক্যানসার ধরা পড়ে পর্রীকরের। অসুস্থ শরীর নিয়েই মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছিলেন। এ নিয়ে বিরোধীরা সরব হলেও গোয়ায় বিজেপির ‘ক্রাইসিস ম্যান’কে রেহাই দেননি দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। এ দিন পর্রীকরের মৃত্যুর ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই একে ‘রাজনৈতিক ভাবে’ কাজে লাগানোর অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। টুইটারে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে অমিত পর্রীকরের অসুস্থ অবস্থার ছবি ব্যবহার করায় অনেকেই ক্ষুব্ধ। শোকবার্তায় সার্জিকাল স্ট্রাইকের প্রসঙ্গ টানা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
২০১৪-র লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পরে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দায়িত্ব নেওয়ার জন্য পর্রীকরকে অনুরোধ করা হয়। কিন্তু গোয়ার মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছেড়ে কেন্দ্রে যেতে প্রথমে রাজি ছিলেন না তিনি। শেষে নরেন্দ্র মোদীর অনুরোধে তিনি প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব নেন। তাঁর সময়েই বিতর্কিত রাফাল চুক্তি সই হয়। সেই সময় তাঁর মন্ত্রকের ভূমিকা অস্বস্তি বাড়ায় মোদীর। ২০১৭-র বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির খারাপ ফল তাঁকে গোয়ায় ফিরিয়ে আনে। মোদী সরকারও স্বস্তি পায়।