Advertisement
E-Paper

গোয়া অগ্নিকাণ্ড: দিল্লি থেকে গ্রেফতার নৈশক্লাবের এক কর্তা! জারি করা হয়েছিল লুকআউট সার্কুলার, কী দাবি করলেন তিনি?

পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতের নাম অজয় গুপ্ত। মঙ্গলবার রাতে দিল্লি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে। তদন্তে জানা গিয়েছে, গোয়ার ওই নৈশক্লাবের চার মালিকের মধ্যে এক জন অজয়।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০২৫ ১০:৩৯
(বাঁ দিকে) নৈশক্লাবের অন্য দুই মালিক সৌরভ ও গৌরব লুথরা। ধৃত অজয় গুপ্ত (ডান দিকে)

(বাঁ দিকে) নৈশক্লাবের অন্য দুই মালিক সৌরভ ও গৌরব লুথরা। ধৃত অজয় গুপ্ত (ডান দিকে) — ফাইল চিত্র।

উত্তর গোয়ার আরপোরার বির্চ নৈশক্লাবে অগ্নিকাণ্ডের পর থেকেই ফেরার ক্লাবের দুই মালিক সৌরভ এবং গৌরব লুথরা তথা লুথরা ভাইয়েরা। তদন্তকারীদের সন্দেহ, বিপদ বুঝে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন তাঁরা। সেই আবহে এ বার ক্লাবের আর এক অংশীদারকে গ্রেফতার করল পুলিশ। জানা গিয়েছে, ধৃত ব্যক্তি ওই ক্লাবের চার মালিকের এক জন। তাঁকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে।

পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতের নাম অজয় গুপ্ত। মঙ্গলবার রাতে দিল্লি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে। অজয় দাবি করেন, ‘‘আমি এই ক্লাবের এক জন অংশীদার মাত্র। এই ঘটনায় আমার কোনও ভূমিকা নেই। ক্লাবে যে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল, এটা জানতামই না।’’ তাঁর আরও দাবি, মেরুদণ্ডের সমস্যার কারণে তিনি লাজপতনগরের এক হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। তদন্তে জানা গিয়েছে, গোয়ার ওই নৈশক্লাবের চার মালিকের মধ্যে এক জন ছিলেন অজয়। চতুর্থ মালিকের নাম সুরেন্দ্রকুমার খোসলা। তাঁর বিরুদ্ধেও লুকআউট সার্কুলার (এলওসি) জারি করেছে গোয়া পুলিশ।

গোয়া পুলিশের জনৈক মুখপাত্র সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে বলেন, ‘‘আমরা নৈশক্লাবের অন্যতম মালিক অজয় গুপ্তকে গ্রেফতার করেছি। এর আগে পুলিশের একটি দল তাঁর দিল্লির বাসভবনে গিয়েছিল। কিন্তু তিনি বাড়ি ছিলেন না। এর পর তাঁর বিরুদ্ধে এলওসি জারি করা হয়। মঙ্গলবার তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই মামলায় তিনি ষষ্ঠ ব্যক্তি, যাঁকে গ্রেফতার করা হল।’’ আপাতত অজয়কে গোয়ায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সেখানে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

গোয়াকাণ্ডে এখনও পর্যন্ত পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে রয়েছেন নৈশক্লাবের চিফ জেনারেল ম্যানেজার রাজীব মোদক, জেনারেল ম্যানেজার বিবেক সিংহ, বার ম্যানেজার রাজীব সিঙ্ঘানিয়া, গেট ম্যানেজার রিয়াংশু ঠাকুর এবং কর্মচারী ভারত কোহলি। নৈশক্লাব কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাপনায় গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে। ওই ক্লাবে পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল না বলে দাবি তদন্তকারীদের। দমকলের ছাড়পত্র ছাড়াই ওই নৈশক্লাব চলছিল বলেও অভিযোগ। তবে ক্লাবের প্রধান মালিক সৌরভ ও গৌরব এখনও অধরাই। অনেকের দাবি, তাইল্যান্ডে পালিয়ে গিয়েছেন তাঁরা। তাঁদের দেশে ফেরাতে ইন্টারপোলের সাহায্য নিয়েছে সিবিআই। দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে ব্লু কর্নার নোটিস জারি করার জন্য ইন্টারপোলকে অনুরোধ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি। গোয়া পুলিশের তরফেও লুথরা ভাইদের বিরুদ্ধে এলওসি জারি করা হয়েছে।

শনিবার মধ্যরাতের পর গোয়ার ওই নৈশক্লাবে আগুন লাগে। দ্রুত গতিতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ওই ঘটনায় ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ২০ জনই ছিলেন ক্লাবের কর্মী। মৃতদের অধিকাংশ রান্নাঘরে আটকে পড়েছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে বেশির ভাগের।

Goa night club Fire Owner Delhi
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy