এ বার থেকে ছোট গাড়ি চালানোর লাইসেন্স থাকলেই চালানো যাবে পণ্যবাহী যানবাহন। দেশের শীর্ষ আদালত সুপ্রিম কোর্ট একটি মামলার রায়ে এমনই নির্দেশ দিয়েছে। ২০১৭ সালে মুকুন্দ দেবাঙ্গন বনাম ওরিয়েন্টাল ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের একটি মামলাকে কেন্দ্র করে এই রায়দান করেছিল সুপ্রিম কোর্টের সদ্য প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচুড়ের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ। দেশের সর্বোচ্চ আদালত এমন নির্দেশ দেওয়ায় আইন সংশোধন জরুরি হয়ে পড়েছে বলেই জানা যাচ্ছে পরিবহণ মহল সূত্রে। এই মামলায় আগেই কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে অ্যাটর্নি জেনারেল আর ভেঙ্কটরামানি জানিয়েছিলেন, মোটর ভেহিকেল্স আইন (১৯৮৮) সংশোধন করার আলোচনা প্রায় সম্পূর্ণ। সব ঠিক থাকলে প্রস্তাবিত সংশোধনীগুলি সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে পেশ করা হতে পারে।
আরও পড়ুন:
সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর দেশের সব রাজ্যের পরিবহণ দফতরকে ওই রায়ের কপি কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে গুরুত্ব সহকারে অধ্যয়ন করতে বলা হয়েছে। কারণ, নভেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে শুরু হচ্ছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন। সব ঠিকঠাক চললে কেন্দ্রীয় পূর্ত ও সড়ক মন্ত্রকের তরফে সংসদের দুই কক্ষে এই সংশোধনী বিলটি পেশ করা হবে। যা সংসদের দুই কক্ষে পাশ হয়ে গেলে রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের জন্য যাবে। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এই বিলে স্বাক্ষর করলে তা আইনে পরিণত হবে। নতুন সংশোধিত আইন খাতায়-কলমে অনুমোদন পেয়ে গেলেই যাতে দেশের সব রাজ্য সেই আইন কার্যকর করতে পারে, সেই বিষয়ে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে রাজ্যের পরিবহণ দফতরগুলিকে। সুপ্রিম কোর্ট রায়দান করে জানিয়ে দিয়েছে যে এ বার ‘এলএমভি’ লাইসেন্সধারী ব্যক্তি সাত হাজার ৫০০ কেজি পর্যন্ত ওজনের যে কোনও বাণিজ্যিক গাড়ি চালাতে পারবেন।
আরও পড়ুন:
ফেডারেশন অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রাক অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সজল ঘোষ বলেন, ‘‘আগে হেভি লাইসেন্স এবং লাইট মিডিয়াম লাইসেন্স ছিল। এই নির্দেশ দেওয়ায় এই বিভেদ তুলে দেওয়া হয়েছে। হালকা ওজনের গাড়ি যে সব চালক চালান, তাঁদের পক্ষে মোটেই পণ্য পরিবহণকারী যান চালানো সম্ভব নয়, তাই সবার আগে সরকার পক্ষের উচিত এই সংক্রান্ত বিষয়ে সঠিক প্রশিক্ষণ দেওয়া। এরপর ধীরে ধীরে অতিরিক্ত ওজন নিয়ে কী ভাবে গাড়ি চালাতে হয়, তার অভিজ্ঞতা অর্জন করা। তবেই হালকা গাড়ির চালকরা পণ্যবাহী গাড়ি ভালভাবে চালাতে পারবেন।’’