অশোক রোডে বিজেপির সদর দফতরে জায়ান্ট স্ক্রিনে প্রতি সেকেন্ডে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সংখ্যাটি। দশ কোটি ছাপিয়ে বিজেপির সদস্য এগোচ্ছে এগারোর দিকে। বিশ্বের সব থেকে বড় দল হওয়ার অঘোষিত খেতাব। তবু স্বস্তিতে নেই নরেন্দ্র মোদী।
কারণ, মাত্র দশ মাসেই অসন্তোষ ভিড় জমিয়েছে তাঁর ও সরকারের আশেপাশে। দলের মধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে মোদীর অতিকেন্দ্রিকতা নিয়ে। বিরোধীরা তাঁর সরকারকে গরিব-বিরোধী তকমা দিয়ে জনমত তৈরি করতে অনেকটাই সফল। অথচ মোদী সরকার যে সব কর্মসূচি এ পর্যন্ত ঘোষণা করেছে, মানুষের কাছে তা পৌঁছচ্ছে না সে ভাবে। মোদীর আশ্বাস ছিল ‘আচ্ছে দিন’ আসবে। কিন্তু মোটেই ‘আচ্ছে দিন’ মালুম হচ্ছে না আম আদমির। আর এ সবের কারণ খুঁজতে গিয়ে মোদী বুঝতে পারছেন, অসন্তোষ শুধু বাইরে নয়, ঘরেও রয়েছে। সরকারের ‘জনমুখী’ কর্মসূচির কথা মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার দায় শুধু একা প্রধানমন্ত্রীর হতে পারে না। দলের সব নেতা-কর্মীকেই এর দায় নিতে হবে। কিন্তু তা হচ্ছে না।
আর তাই কাল থেকে সংসদের অধিবেশন শুরুর এক দিন আগে মোদী দলের নেতাদের কাছে এই বার্তাটি পৌঁছে দেওয়ার জন্য বেছে নিলেন সাংসদদের কর্মশালার মঞ্চকে। সেখানেই তিনি ডাক দিলেন যৌথ তথা সম্মিলিত নেতৃত্বের। বোঝালেন, তাঁকে সামনে রেখে লোকসভায় যে বিজয় পতাকা উড়িয়েছে বিজেপি, সেই সাফল্যকে ধরে রাখতে হলে সকলকেই দায়িত্ব নিতে হবে। এই সরকারটি তাঁর একার নয়, দলের সকলের। আর এর জন্যই এই কর্মশালায় পাশে বসালেন দলের প্রবীণ নেতা লালকৃষ্ণ আডবাণীকে। যে আডবাণীকে দলের প্রতিষ্ঠা দিবসেও আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। এক সময়ের মোদী-বিরোধী সুষমা স্বরাজেরও তারিফ করলেন কথা প্রসঙ্গে। ইয়েমেন থেকে ভারতীয়দের উদ্ধারের ঘটনায় বিদেশমন্ত্রী সুষমা ও বিদেশ প্রতিমন্ত্রী ভি কে সিংহের প্রশংসা করলেন।