Advertisement
E-Paper

করিমগঞ্জের সড়কে বেহাল রাজ্যপালের গাড়ি

বরাকের বেহাল জাতীয় সড়কে ফাঁসলেন রাজ্যপাল বনোয়ারিলাল পুরোহিত। করিমগঞ্জের রাস্তার গর্তে চাকা ফাটল রাজ্যপালের গাড়ির! বরাকের বিভিন্ন প্রান্তের রাস্তা একেবারেই বেহাল। শাসক থেকে বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতারা এ নিয়ে বারবার সরকারের কাছে নালিশ জানিয়েছেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ নভেম্বর ২০১৬ ০২:৩২
চাকা ফেটে বিকল রাজ্যপালের গাড়ি। করিমগঞ্জের জাতীয় সড়কে। বৃহস্পতিবার। — নিজস্ব চিত্র

চাকা ফেটে বিকল রাজ্যপালের গাড়ি। করিমগঞ্জের জাতীয় সড়কে। বৃহস্পতিবার। — নিজস্ব চিত্র

বরাকের বেহাল জাতীয় সড়কে ফাঁসলেন রাজ্যপাল বনোয়ারিলাল পুরোহিত।

করিমগঞ্জের রাস্তার গর্তে চাকা ফাটল রাজ্যপালের গাড়ির!

বরাকের বিভিন্ন প্রান্তের রাস্তা একেবারেই বেহাল। শাসক থেকে বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতারা এ নিয়ে বারবার সরকারের কাছে নালিশ জানিয়েছেন। অভিযোগ গিয়েছে গুয়াহাটির রাজভবনে। রাজ্যপালের দফতরের তরফে অনেক বার তা নিয়ে পদক্ষেপের প্রতিশ্রুতিও মিলেছে। কিন্তু বাস্তবে যে কাজের কা কিছুই হয়নি তা আজ টের পেলেন খোদ রাজ্যপাল।

গত কাল বিকেলে করিমগঞ্জে এসেছিলেন অসমের রাজ্যপাল। নৈশযাপন করেন আবর্ত ভবনে। এ দিন সকালে শহরের অম্বেডকর মূর্তি লাগোয়া পূর্ত সড়কে সাফাই অভিযানে যোগ দেন তিনি। সেখানে ছিলেন জেলাশাসক প্রশান্তকুমার মহন্ত, পুলিশ সুপার প্রদীপরঞ্জন কর, পুরনেত্রী শিখা সূত্রধর। ঝাড়ু হাতে রাস্তা পরিষ্কার করেন রাজ্যপাল। তিনি বলেন, ‘‘স্বচ্ছ ভারত গড়তে সমাজের বিদ্বজ্জনরা সাপাই অভিযানে সামিল হলে তার প্রভাব পড়বে সাধারণ মানুষের উপর। শহর থাকবে সুন্দর।’’ সবাইকে ওই অভিয়ানে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। ওই অনুষ্ঠানের পর গাড়িতে নিজের উঠতে গিয়ে অন্য সমস্যার কথা জানতে পারেন রাজ্যপাল। নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁকে কনভয়ের অন্য একটি গাড়িতে উঠতে বলেন। রাজ্যপাল সেটিতে উঠেও পড়েছিলেন। কিন্তু পরমুহূর্তেই তাঁকে ফের রাজ্যপালের জন্য বরাদ্দ মূল গাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। করিমগঞ্জ থেকে জাতীয় সড়ক ধরে শ্রীগৌরীর মাধবধামে যান রাজ্যপাল। সেখানে আরএসএস নিয়ন্ত্রণাধীন মাধবধামের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। সেখানে রাজ্যপাল বলেন, ‘‘করিমগঞ্জের রাস্তা এতটা খারাপ তা ভাবতে পারিনি।’’ পরে তিনি শিলচর রওনা দেন।

বিপত্তির সূত্রপাত তখনই। বদরপুর পেরনোর আগেই রাজ্যপালের গাড়ির চাকা ফেটে যায়। ১৫টি গাড়ি ছিল তাঁর কনভয়ে। চাকা ফেটেছে বুঝলেও প্রথমে গাড়ি থামাননি চালক। পরে সমস্যা হতে পারে ভেবে মাঝরাস্তায় গাড়িটি থামিয়ে দেন তিনি।

করিমগঞ্জে সাফাই অভিযানের পর প্রথমে রাজ্যপালকে যে ‘স্পেয়ার’ গাড়িতে বসানো হয়েছিল, ফের তাতে ওঠেন বনোয়ারিলাল পুরোহিত। তাতেই রওনা হন শিলচরে।

গত কাল রাজ্যপালকে করিমগঞ্জে নিয়ে আসা হয়েছিল সীমান্ত-সংলগ্ন রাস্তা দিয়ে। কিন্তু এ দিন জাতীয় সড়ক দিয়ে এগোয় তাঁর কনভয়। তাতেই বরাকের রাস্তার করুণ অবস্থার ছবি তাঁর কাছে স্পষ্ট হয়ে যায়।

Govorner vehicles
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy