শোপিয়ানে পুলিশকে লক্ষ্য করে গ্রেনেড।
পাক জঙ্গি সংগঠন জৈশ-ই-মহম্মদ যে জম্মু-কাশ্মীরে হামলার ছক করেছে, সে খবর আগেই পেয়েছিল গোয়েন্দা বাহিনী। কিন্তু,তার পরেও হামলা ঠেকানো সম্ভব হল না। সোমবার শোপিয়ানে গ্রেনেড হামলায় জখম হলেন অন্তত১৬ জন। এর মধ্যে ১২জন সাধারণ নাগরিক এবং ৪জন নিরাপত্তাকর্মী।
পুলিশ সূত্রে খবর, শোপিয়ানের বাটাপোরা চকে পুলিশি টহলদারির সময় গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। গ্রেনেডটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে রাস্তায় ফেটে যায়। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জৈশের তরফ থেকে এই হামলার দায় স্বীকার করা হয়েছে। সম্প্রতি জৈশ প্রধান মাসুদ আজহারের একটি অডিও টেপ হাতে পেয়েছে গোয়েন্দা বাহিনী। তাতে জঙ্গিদের উদ্দেশ্যে মাসুদ বলেছেন, ‘‘রমজান মাসে সেনা অভিযান বন্ধ হওয়ায় আমাদের সামনে নতুন সুযোগ এসে গিয়েছে।’’ সেনা বাহিনীর কাছে যা খবর, তাতে একদল জঙ্গি সীমান্তরক্ষীদের নজর এড়িয়ে ঢুকে পড়েছে কাশ্মীরে। তবে কি তারাই সেনা অভিযান বন্ধ থাকার সুযোগ নিয়ে হামলা চালাচ্ছে? প্রশ্নটা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছেনা।
আরও পড়ুন: কাশ্মীরে ঢুকে পড়ার এটাই মোক্ষম সুযোগ, পাক জঙ্গিদের উস্কালেন মাসুদ
আরও পড়ুন: ১৪ মিনিট খোঁজ নেই সুষমার বিমানের
গত চার দিনে কমকরে ১০টি গ্রেনেড হামলার মুখে পড়তে হয়েছে কাশ্মীরকে। সিআরপিএফ-এর গাড়ির চাপায় শ্রীনগরে এক যুবকের মৃত্যুর পর থেকেই উত্তেজনা বাঁধ ভেঙেছে। অন্তত তিনটি সিআরপিএফ-এর গাড়িকে গ্রেনেড হামলার মুখে পড়তে হয়েছে। এর পর আজ সকালেও নতুন করে হামলা। গোটা এলাকা ঘিরে ফেলেছে সেনাবাহিনী। হামলাকারীদের সন্ধানে চলছে তল্লাশি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy