গুজরাত হাই কোর্ট। —ফাইল চিত্র।
১০ মিনিটের আজানে শব্দদূষণ হয় এমন কোনও বৈজ্ঞানিক ভিত্তি বা প্রমাণ নেই— লাউড স্পিকারে আজান বন্ধের আবেদন জানিয়ে দায়ের করা জনস্বার্থ মামলার প্রেক্ষিতে আজ এই মন্তব্য করেছে গুজরাত হাই কোর্ট। সেই সঙ্গে আদালত ওই আবেদনটি বাতিল করে দিয়েছে। গুজরাত হাই কোর্ট প্রশ্ন তুলেছে, ১০ মিনিটের আজান যদি শব্দ দূষণের কারণ হয়, তা হলে মন্দিরে ভজন-আরতির সময় লাউড স্পিকার বাজানোয় অসুবিধা হয় না!
ধর্মেন্দ্র প্রজাপতি নামে এক চিকিৎসক লাউড স্পিকারে আজান বন্ধের আবেদন জানিয়ে গুজরাত হাই কোর্টে মামলা করেছিলেন। আদালতে তিনি আবেদন করেছিলেন, হাসপাতালের কাছে একটি মসজিদে দিনে পাঁচ বার লাউড স্পিকারে আজান দেওয়া হয়। এর ফলে রোগীদের অসুবিধা হচ্ছে। যে শব্দদূষণ হচ্ছে, তার প্রভাব পড়ছে সাধারণ মানুষের উপরে। বিশেষ করে শিশুরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
গুজরাত হাই কোর্টের প্রধান সুনীতা আগরওয়াল এবং বিচারপতি অনিরুদ্ধ মায়ীর বেঞ্চে আজান মামলার শুনানি হয়। আদালত সব পক্ষের বক্তব্য শোনার পরে বলেছে, শব্দদূষণের মাত্রা মাপার জন্য বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি আছে। কিন্তু এই আবেদনে তার কোনও উল্লেখ নেই। ১০ মিনিটের আজান শব্দদূষণের কারণ প্রমাণের জন্য কোনও সুনির্দিষ্ট তথ্য দিতে পারেননি আবেদনকারী। হাই কোর্ট জানিয়ে দেয়, আবেদকারীর দাবির কোনও বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। আদালতের মতে, আজান দিনের বিভিন্ন সময়ে সর্বোচ্চ ১০ মিনিটের জন্য হয়ে থাকে। আদালত আরও জানিয়েছে, আজান একটি ধর্মীয় বিশ্বাস। যা বছরের পর বছর ধরে চলে আসছে এবং ৫ থেকে ১০ মিনিটের জন্য স্থায়ী থাকে।
মামলাটি খারিজের আগে হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ আবেদনকারীর আইনজীবীর কাছে জানতে চায়, ‘মন্দিরে সকালের আরতিও ভোর ৩ টের সময় গান-বাজনার সঙ্গে শুরু হয়। আপনি কি বলতে পারেন যে পুজোর ঘণ্টা এবং গানের আওয়াজ শুধু মন্দির চত্বরের সীমাবদ্ধ থাকে এবং তা মন্দিরের বাইরে ছড়ায় না?’ একই সঙ্গে আদালতের প্রশ্ন, অনেক সময় তো লাউড স্পিকারে গানও বাজানো হয়। সেটা কী শব্দ দূষণ নয়!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy