Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

গুড়গাঁওয়ে গ্যাংওয়ার, গুলিতে মৃত ১

সাতসকালে গুলি তলল প্রকাশ্য রাস্তায়। তার জেরে বন্ধ হয়ে গেল যানচলাচল। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ল গোটা শহরে। সকাল তখন ৯টা। ব্যস্ত গুড়গাঁওয়ের মহাত্মা গাঁধী রোড।

দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া অটো রিক্সা। ছবি: টুইটারের সৌজন্যে।

দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া অটো রিক্সা। ছবি: টুইটারের সৌজন্যে।

সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ১৫ জুলাই ২০১৫ ১২:৪৩
Share: Save:

সাতসকালে গুলি চলল প্রকাশ্য রাস্তায়। তার জেরে বন্ধ হয়ে গেল যানচলাচল। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ল গোটা শহরে।

সকাল তখন ৯টা। ব্যস্ত গুড়গাঁওয়ের মহাত্মা গাঁধী রোড। সামনেই শহরের গুরুত্বপূর্ণ ল্যান্ডমার্ক ইফকো চক। তার আগে সেন্ট্রাল মলের সামনে আচমকাই গুলির শব্দ। তার পরেই একটি এসইউভি-কে দেখা গেল কার্যত উড়ে যাচ্ছে ডিভাইডারের দিকে। এবং উল্টো দিক থেকে আসা একটি অটো রিকশার উপর আছড়ে পড়ে সেটি। কোনও রকমে গাড়ি থেকে পালিয়ে পাশের বহুতলে আশ্রয় নিলেন গাড়ির সওয়ারি। গুলি লাগল এসইউভি-র চালকের দেহে। সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিত্সকেরা জানিয়েছেন তাঁর দেহে গুলি লেগেছে। অন্য দিকে, গুরুতর জখম অটোচালককেও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তিনি মারা যান।

কে ছিলেন ওই গাড়ির সওয়ারি?

পুলিশ জানাচ্ছে, গাড়ির মালিকের নাম রাকেশ কুমার। সমাজবিরোধী হিসেবে পুলিশের খাতায় তার নাম রয়েছে উপরের দিকে। এ দিন সকালে সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে নিজের এসইউভিতে চেপে কোথাও একটা যাচ্ছিল রাকেশ। পথে সেন্ট্রাল মলের সামনে, ভরা রাস্তায় তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছুটে আসে পাশ দিয়ে যাওয়া অন্য একটি গাড়ি থেকে। বেগতিক বুঝতে পেরে এসইউভি-র চালক নিজের গাড়ির গতি বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু, হঠাত্ গতিতে টাল সামলাতে না পেরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে গাড়িটি। অন্য দিকে, চালকের দেহে গুলি লাগায় সে-ও গাড়িটির নিয়ন্ত্রণ ফেরাতে পারেনি বলে পুলিশের দাবি।

শহরের এক উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্তা এই ঘটনাটিকে ‘গ্যাংওয়ার’ হিসেবেই বর্ণনা করেছেন। পাশাপাশি তিনি জানান, গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

auto gurgaon murder gunmen
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE