সুষমা স্বরাজ। —ফাইল চিত্র।
সন্ত্রাস দমনের প্রশ্নে যতই সহমত হোক ভারত-আমেরিকা, কিন্তু এইচ-১বি ভিসা নিয়ে রাশ আলগা করা তো দূর, নিয়ম আরও কঠোর করল ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। নয়াদিল্লিতে মার্কিন বিদেশসচিব রেক্স টিলারসনের সঙ্গে বৈঠকে আজ এইচ-১বি ভিসার প্রসঙ্গ তোলেন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। তিনি অনুরোধ করেন, তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পে মার্কিন নাগরিকদের আরও বেশি চাকরি দেওয়ার যুক্তিতে এইচ-১বি ভিসা আইনে রদবদল ঘটিয়ে ভারতীয় মেধা ও দক্ষতার প্রবেশে যেন বাধা হয়ে না দাঁড়ায় আমেরিকা।
ঘটনাচক্রে সুষমা যখন ভারতীয় পেশাদারদের কাজের সুযোগ নিয়ে টিলারসনের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছেন, তারই মধ্যে ওয়াশিংটন থেকে খবর এসেছে যে, ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীদের কাছে জনপ্রিয় এইচ-১বি কিংবা এল১ ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর পথ আরও শক্ত করা হয়েছে। নয়া নিয়মে বলা হয়েছে, প্রতি বার ভিসার মেয়াদ বাড়াতে হলে যোগ্যতা প্রমাণের দায় নিতে হবে আবেদনকারীকেই। মার্কিন নাগরিকত্ব ও অভিবাসন সেবা দফতর (ইউএসসিআইএস)-এর বক্তব্য, ২০০৪ সালের সমঝোতায় এই ভার দেওয়া হয়েছিল মার্কিন প্রশাসনকেই। তারাই এত দিন সেটা করে এসেছে। ভবিষ্যৎ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুধু নয়, নয়া নিয়মের প্রয়োগ হবে ‘রেট্রোস্পেকটিভ’। অর্থাৎ অতীতের আবেদনের ভিত্তিতে এখন যাঁরা আমেরিকায় রয়েছেন, তাঁদের ক্ষেত্রেও এই নিয়ম প্রয়োগ করা হবে। ভিসা জালিয়াতি রোধে এই নয়া ব্যবস্থা বলেই দাবি করছে মার্কিন প্রশাসন। যদিও হয়রানির আশঙ্কা করছেন বৈধ অভিবাসী ও কর্মরত বিদেশিরাও।
বস্তুত ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর থেকেই মার্কিন ভিসার বিষয়টি মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ভারতের। এর সঙ্গে ঘরোয়া রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়ার বিষয়টিও যুক্ত। ট্রাম্প প্রশাসন কাজ শুরু করার পরেই এইচ-১বি ভিসা আইনে রদবদল ঘটাতে বিল আনা হয় মার্কিন কংগ্রেসে। ওই বিল আইন হলে ভারতের ১৫ হাজার কোটি টাকার তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের ভবিষ্যৎ কার্যত অন্ধকার হয়ে যাবে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। এইচ-১বি
ভিসা নিয়ে মার্কিন সংস্থাগুলিতে কাজ করছেন প্রায় ৬৫ হাজার তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী।
আজ টিলারসনের সঙ্গে বৈঠকের পরে সাংবাদিক বৈঠকেও বিষয়টি নিয়ে সরব হন সুষমা। টিলারসনকে পাশে রেখেই বলেন, ‘‘এর আগে রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সম্মেলনে যখন টিলারসনের সঙ্গে কথা হয়েছিল, তখন এবং আজও বলেছি, ভিসা আইনে বদল করা বলে আমাদের সমস্যা রয়েছে। দু’দেশের ঘনিষ্ঠতা সত্ত্বেও ভারতের দক্ষ পেশাদাররা যদি ভাবেন যে মার্কিন আচরণে তাঁদের ক্ষতি হবে, তবে তা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের পক্ষেও হানিকর।’’ বিদেশমন্ত্রী জানান, বিলটি রোখার জন্য মার্কিন কংগ্রেস এবং সরকার—দু’তরফের সঙ্গেই কথা বলছে ভারত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy