হরেন পাণ্ড্য। ফাইল ছবি।
রাজ্যের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হরেন পাণ্ড্যকে খুন করিয়েছিলেন গুজরাত পুলিশের তদানীন্তন ডিজি বানজারা। পাণ্ড্যকে খুন করানোর জন্য সোহরাবুদ্দিন শেখ নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে চুক্তি করেছিলেন গুজরাত পুলিশের তদানীন্তন ডিজি। সোহরাবুদ্দিন খুনটা করিয়েছিলেন তুলসীরাম প্রজাপতি নামে তাঁর এক সাগরেদকে দিয়ে।
মুম্বইয়ে সিবিআইয়ের বিশেষ বিচারপতি এস জে শর্মার আদালতে এ কথা জানিয়েছেন সোহরাবুদ্দিন শেখ মামলার এক সাক্ষী আজম খান। তিনি জানান, সোহরাবুদ্দিন নিজেই তাঁকে জানিয়েছিলেন, পাণ্ড্যকে খুন করার ব্যাপারে বানজারার সঙ্গে তাঁর চুক্তি হয়েছিল। এও জানিয়েছিলেন, খুনটা করেছিলেন তাঁর সাগরেদ তুলসীরাম প্রজাপতি। আজম তাঁর সাক্ষ্যে বলেছেন, এই সব কিছুই তিনি সিবিআইয়ের এক তদন্তকারী অফিসারকে জানিয়েছিলেন। কিন্তু পরে তাঁর বয়ান থেকে সেই সব বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
২০০৩ সালের মার্চে আমদাবাদে খুন হন পাণ্ড্য। ওই সময় সিবিআই জানিয়েছিল, ২০০২-এ গুজরাতে যে দাঙ্গা হয়েছিল, পাণ্ড্য হত্যাকাণ্ড তারই বদলা। তার দু’বছর পর, ২০০৫ সালে সোহরাবুদ্দিন ও তাঁর স্ত্রী কওসর বাঈও খুন হয়ে যান।
আরও পড়ুন- রামের মূর্তিটা আরও বেশি উঁচু হোক: আজম খান
আরও দেখুন- এই মূর্তি তৈরির টাকায় হতে পারত ছ’টা মঙ্গল অভিযান!
সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে দেওয়া সাক্ষ্যে আজম বলেছেন, ‘‘সোহরাবুদ্দিনকে আমি ওই সময় বলেছিলাম, কাজটা ভুল করেছ। পাণ্ড্য ভাল মানুষ ছিলেন। পরে উদয়পুর জেলে গিয়ে আমি সোহরাবুদ্দিনের সাগরেদ তুলসীরাম প্রজাপতির সঙ্গে দেখা করেছিলাম। তুলসীরাম আমাকে বলেছিল, গুজরাত পুলিশ এক ভুয়ো সংঘর্ষে সোহরাবুদ্দিন ও তাঁর স্ত্রী কওসর বাঈকে খুন করেছিল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy