Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
National News

কংগ্রেসের দয়া বলেও পিছিয়ে গেলেন কুমার, মন্ত্রিসভা নিয়ে কথা দিল্লিতে

রাহুল ও সনিয়া গাঁধী দেশে নেই। তবে কর্নাটকের মন্ত্রিসভা গড়া নিয়ে আলোচনা করতে দিল্লি এলেন মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামী। আর মন্ত্রিসভা গঠনের আগেই জানিয়ে দিলেন, রাজ্যে কৃষকদের ঋণ মকুবের জন্য দ্রুত এগোতে চান তিনি। এ জন্য কংগ্রেসের সঙ্গে পরামর্শ করেই এগোতে চান।

করমর্দন: দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কুমারস্বামী। সোমবার। ছবি: পিটিআই।

করমর্দন: দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কুমারস্বামী। সোমবার। ছবি: পিটিআই।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২৯ মে ২০১৮ ০৩:০৭
Share: Save:

রাহুল ও সনিয়া গাঁধী দেশে নেই। তবে কর্নাটকের মন্ত্রিসভা গড়া নিয়ে আলোচনা করতে দিল্লি এলেন মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামী। আর মন্ত্রিসভা গঠনের আগেই জানিয়ে দিলেন, রাজ্যে কৃষকদের ঋণ মকুবের জন্য দ্রুত এগোতে চান তিনি। এ জন্য কংগ্রেসের সঙ্গে পরামর্শ করেই এগোতে চান। দিল্লি আসার আগে গত কাল বেঙ্গালুরুতে কুমারস্বামী মন্তব্য করেছিলেন, তিনি মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসেছেন ঠিকই, তবে ভোটে রাজ্যের মানুষ তাঁকে পুরোপুরি সমর্থন দেয়নি। কংগ্রেসের দয়াতেই টিকে রয়েছেন। এর পরেই বিজেপি কুমারস্বামীর সমালোচনায় নামে। আজ নিজের কথার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘দয়ার প্রশ্ন নয়, জোটে কংগ্রেস আমাদের থেকে বড় দল। তাই তাদের সঙ্গে পরামর্শ করেই এগোতে হবে আমাদের।’’

দিল্লি এসে আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করেছেন কুমারস্বামী। সেটা সৌজন্য সাক্ষাৎ। তবে জেডিএস নেতার মূল উদ্দেশ্য মন্ত্রিসভা গড়ার ব্যাপারে কংগ্রেসের শীর্ষনেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করা। সূত্রের খবর, কর্নাটকে শুধু কুড়ি জন মন্ত্রীই নয়, অর্থ মন্ত্রকের দায়িত্বও চাইছে কংগ্রেস। তবে জেডিএস সূত্রের খবর, এ নিয়ে টানাপড়েন রয়েছে। কুমারস্বামী অর্থ মন্ত্রক নিজের হাতে রাখতে চান। দফতর বণ্টনের ব্যাপারে দুই শরিকের সংঘাতের সম্ভাবনা অবশ্য উড়িয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। দিল্লিতে গুলাম নবি আজাদের সঙ্গে এ ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে কংগ্রেস সূত্রের মতে, রাহুল গাঁধী মন্ত্রিসভা নিয়ে কথা বলার জন্য গুলাম নবিদের হাতে দায়িত্ব ছেড়ে গিয়েছেন ঠিকই, তবে এ সপ্তাহের শেষে কংগ্রেস সভাপতি দিল্লি ফেরা না পর্যন্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কম।

কর্নাটকে সরকার গড়তে ব্যর্থ হতেই চাষিদের ঋণ মকুবের বিষয় নিয়ে কুমারস্বামীকে চেপে ধরতে চাইছে বিজেপি। এই পরিস্থিতিতেই কুমারস্বামীর মন্তব্য, ‘‘চাষিদের জন্য কাজ করতে সবার থেকে এক কদম এগিয়ে রয়েছি আমি। তাঁ দের ঋণ মকুবের ব্যাপার নিয়ে আমার ইস্তফা চাওয়ার দরকার নেই। যদি সফল না হই, নিজেই পদ ছেড়ে দেব।’’ বিজেপিকে নিশানা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘ঋণ মকুবকে সব থেকে গুরুত্ব দিচ্ছি আমি। তবে আপনারা এক সপ্তাহও অপেক্ষা করতে পারছেন না? মন্ত্রিসভাও তো এখনও পুরোপুরি গঠন করা হয়নি।’’ কর্নাটকের চাষিদের উদ্দেশে জেডিএস নেতার আর্জি, ঋণের জালে জড়িয়ে আত্মহত্যার পথে যাওয়ার কোনও দরকার নেই। ঋণ মকুবের রাস্তা খুঁজছেন তিনি। তাঁকে এক সপ্তাহ সময় দেওয়া হোক।

আরও পড়ুন: ‘উজ্জ্বল’ হয়েছে দলিত ও মুসলিম ভাগ্য, দাবি মোদীর

রাজনীতিক হিসেবে বাধ্যবাধকতা থাকলেও চাষিদের ঋণ মকুবের প্রশ্নে তাঁর অবস্থান স্পষ্ট বলেই জানিয়ে দেন কুমারস্বামী। বলেন, ‘‘যদি এ কাজ না করতে পারি, রাজনীতি ছেড়ে দেব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE