—প্রতীকী চিত্র
দেশে করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা সাড়ে ৯৯ লক্ষ পেরোলেও গত ২৪ ঘণ্টায় রোগী বেড়েছে ২৪,০১০ জন। গত কালের থেকে সংক্রমণ কমেছে প্রায় ৯ শতাংশ। সংক্রমণ ২৫ হাজারের নীচে নেমে যাওয়ায় স্বাভাবিক ভাবেই আশা দেখছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যকর্তারা। মৃতের সংখ্যাও কমেছে গত ২৪ ঘণ্টায়।
বিবৃতিতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক আজ বলেছে, যে সমস্ত দেশে কোভিডে সুস্থতার হার সব চেয়ে বেশি, ভারত তাদের অন্যতম। এ দেশে সুস্থতার হার এখন ৯৫.৩১ শতাংশ। বিশ্বে ওই হার ৭০.২৭ শতাংশ। মোট সংক্রমিতের মাত্র ৩.২৪ শতাংশ এখন অ্যাক্টিভ রোগী। মোট সুস্থ ও অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যার ব্যবধান ৯১.৬৭ লক্ষ। সুস্থের সংখ্যা ৯৫ লক্ষ ছুঁইছুঁই।
এমসের ডিরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়া বলেছেন, সংক্রমণের শৃঙ্খল ভাঙার লক্ষ্যে পর্যাপ্ত সংখ্যক মানুষকে টিকা দিতে ছ’মাস লাগতে পারে। আশা করা যায়, তারও ছ’মাস পরে অতিমারি শেষ হয়ে আসবে। সংক্রমণের অত্যধিক ঝুঁকি রয়েছে, এমন মানুষদের টিকাকরণ শুরু করলে মৃত্যুহারও কমে আসবে।
টিকাকরণের প্রস্তুতি হিসেবে দিল্লি সরকার অন্তত সাড়ে তিন হাজার চিকিৎসাকর্মীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু করেছে। এঁদের মধ্যে ১৮০০ জনকে রাজধানীর ৬০৯টি কোল্ড চেন পয়েন্টে মোতায়েনের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। বাকিদের রাখা হতে পারে বিভিন্ন টিকাকরণ-বুথে। মৌলানা আজাদ মেডিক্যাল কলেজের তিন জন চিকিৎসক ‘ভ্যাকসিন অফিসার’ হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন। পরে তাঁরা অফিসারদের প্রশিক্ষণ দেবেন। প্রথম পর্যায়ে দিল্লির দুই লক্ষাধিক স্বাস্থ্যকর্মীকে টিকা দেওয়া হবে।
প্রশিক্ষণ প্রকল্পের অন্যতম ‘মেন্টর’ তথা মৌলানা আজাদ মেডিক্যালের ডিরেক্টর-অধ্যাপক সুনীতা গর্গ বলেন, ‘‘এমবিবিএস, বিডিএস, আয়ুষ চিকিৎসকেরা, ফার্মাসিস্ট, এএনএম নার্স এবং ইন্টার্নরা এই প্রশিক্ষণ পাচ্ছেন। কী ভাবে টিকা সংরক্ষণ করে তা বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যেতে হবে, টিকার তথ্য-সংবলিত ‘কো-উইন’ অ্যাপ কী ভাবে ব্যবহার করতে হবে, সবই শেখানো হচ্ছে তাঁদের। দিল্লিতে টিকা প্রথমে রাখা হবে রাজীব গাঁধী সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে।’’
আগামী ছয় থেকে আট মাসের মধ্যে ৩০ কোটি মানুষকে টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে কেন্দ্রের। কিন্তু আন্তর্জাতিক মঞ্চ গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিনস অ্যান্ড ইমিউনাইজেশন (জিএভিআই) মনে করছে, প্রথম দফার টিকাকরণে ১০ হাজার থেকে ১৩ হাজার কোটি টাকা খরচ করতে হবে ভারতকে। গরিব এবং মাঝারি আয়ের দেশগুলিকে করোনার টিকা পেতে সাহায্যের লক্ষ্যে গত এপ্রিলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) এবং জিএভিআই-এর নেতৃত্বে ‘কোভ্যাক্স’ প্রকল্প তৈরি হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy