গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
স্থগিতাদেশ চেয়েছিল তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। কিন্তু তাতে সায় না দিয়ে শুক্রবারই আবগারি দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টি (আপ) প্রধান অরবিন্দ কেজরীওয়ালের জামিনের বিরোধিতায় দায়ের করা আবেদনের শুনানি শুরু করল দিল্লি হাই কোর্ট।
শুনানির গোড়াতেই ইডির আইনজীবী তথা অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল রাজু জানান, ‘বেআইনি আর্থিক লেনদেন প্রতিরোধ আইন’ (পিএমএলএ)-এর ৪৫ নম্বর ধারা অনুযায়ী ইডির তরফে জামিনের বিরোধিতা করে জমা দেওয়া নথিগুলি যথাযথ ভাবে বিবেচনা করার কথা ছিল রাউস অ্যাভিনিউ আদালতের। তাঁর অভিযোগ, সেই নথিগুলি পর্যালোচনা না করেই একতরফা ভাবে জামিন দেওয়া হয়েছে আপ প্রধানকে। সেই নথি পরীক্ষা করা হবে বলে হাই কোর্ট জানিয়েছে ইডিকে।
ইডির আবেদন মেনে স্থগিতাদেশ না দিলেও দিল্লি হাই কোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চের বিচারপতি সুধীরকুমার জৈন এবং বিচারপতি রবীন্দ্র দুদেজার বেঞ্চ জানিয়েছিল, হাই কোর্টে পরবর্তী শুনানি না হওয়া পর্যন্ত তিহাড় জেলে বন্দি কেজরী মুক্তি পাবেন না। কেজরীর স্ত্রী সুনীতার অভিযোগ, বৃহস্পতিবার দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত জামিন মঞ্জুর করার পরে সেই রায় ওয়েবসাইটে আপলোড হওয়ার আগেই দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে ইডি।
প্রসঙ্গত, ইডির তরফে বৃহস্পতিবার কেজরীর জামিন ৪৮ ঘণ্টা পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন করা হয়েছিল রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে। কিন্তু তা গ্রাহ্য হয়নি। বিচারক ন্যায় বিন্দু ১ লক্ষ টাকার বন্ডে জামিন দেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে। সুনীতা শুক্রবার বলেন, ‘‘দেশে স্বৈরতন্ত্র সমস্ত সীমা লঙ্ঘন করেছে।’’ আবগারি মামলায় গত ২১ মার্চ কেজরীকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। কিন্তু তিনি মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেননি। পরে লোকসভা ভোটের আগে প্রচারের জন্য তাঁকে অন্তর্বর্তী জামিন দেওয়া হয়েছিল। সেই মেয়াদ শেষ হলে আবার তিনি তিহাড় জেলে ফিরে গিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার আম আদমি পার্টির প্রধানের স্থায়ী জামিনের মঞ্জুর হয় রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy