স্বপ্নের মধুচন্দ্রিমা এমন হবে, ভাবতেও পারেননি শ্রীরূপা।
দু’জনে নীল জলে পা ডুবিয়ে কতক্ষণ দাঁড়িয়ে ছিলেন, সে হিসেব কষা হয়নি। মিনিট-সেকেন্ডের হিসেব রাখার কথাও তখন ছিল না। স্নিগ্ধ বাতাসেও ছিল একটা মাতাল করা গন্ধ। কিন্তু মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বদলে গিয়েছিল সব কিছু। বেপরোয়া ঝড়, আকাশভাঙা বৃষ্টি, উত্তাল সমুদ্র, অন্ধকার, বন্দিদশা, বায়ুসেনার কপ্টার—নবদম্পতির মধুচন্দ্রিমার সঙ্গে সব কিছু মিলেমিশে একাকার।
২৪ নভেম্বর বিয়ে হয় মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার রাকেশ চন্দ্র এবং চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট শ্রীরূপা সরকারের। শুক্রবার রাতে কলকাতা বিমানবন্দরে যখন যুগল নামলেন, মুখে একরাশ বিরক্তি। শ্রীরূপার কথায়, ‘‘দিন চারেক যা কাটল। মনে হচ্ছিল এর থেকে ঘরে বসে ঘাসের উপর শিশির বিন্দু দেখা ভাল ছিল।’’ ১ ডিসেম্বর তাঁরা পাড়ি দিয়েছিলেন আন্দামানে। প্রথম পাঁচটা দিন ছিল স্বপ্নের। দুঃস্বপ্নের শুরু তার পর থেকে।