এস জয়শঙ্কর।— ফাইল চিত্র
রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভায় শুক্রবার সম্মুখ-সমরে নরেন্দ্র মোদী ও ইমরান খান। একই দিনে দুই রাষ্ট্রনেতার বক্তৃতার সুর কেমন হবে তাও যেন ২৪ ঘণ্টা আগে বৃহস্পতিবার স্থির হয়ে গেল। এ দিন রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভার ফাঁকেই পার্শ্ববৈঠকে বসেন সার্ক ভুক্ত দেশগুলির বিদেশমন্ত্রীরা সেখানেই তৈরি হল নাটকীয় পরিস্থিতি। দুই দেশের বিদেশমন্ত্রীই একে অপরের ভাষণ এড়িয়ে গেলেন।
কাশ্মীর ইস্যুকে সামনে রেখে ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে কূটনৈতিক উত্তেজনার পারদ চড়ছে। সংঘাতের মাত্রা যে কতটা তা টের পাওয়া গেল বৃহস্পতিবার। এ দিন বৈঠকে বসেছিলেন সার্ক (সাউথ এশিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর রিজিওনাল কোঅপারেশন) গোষ্ঠী ভুক্ত দেশগুলির বিদেশমন্ত্রীরা। সেখানেও ছড়িয়ে পড়ে কাশ্মীর আঁচ। বৈঠকে ভাষণ দিচ্ছিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। কিন্তু, সেই সময় গরহাজির ছিলেন পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি। বক্তৃতা দেওয়ার পরেই অবশ্য বৈঠক ত্যাগ করেন জয়শঙ্করও। তার পর সেখানে পৌঁছন পাক বিদেশমন্ত্রী। ভারত এবং পাকিস্তানের দুই বিদেশমন্ত্রীকে ওই বৈঠকে এক সঙ্গে কখনই দেখা যায়নি।
সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, জয়শঙ্কর বেরিয়ে যাওয়ার পর, বৈঠকে ঢুকে কুরেশি বলেন, ‘‘কাশ্মীরিদের খুনিদের সঙ্গে তিনি কখনই বসবেন না এবং কথাও বলবেন না।’’ জয়শঙ্করের বক্তৃতা চলাকালীন কুরেশির বৈঠকে যোগ না দেওয়ার কারণ জানিয়েছে পাকিস্তানের শাসক দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসান। টুইটে বলা হয়েছে, ‘কুরেশি সার্কভুক্ত দেশগুলির বিদেশমন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠকে এস জয়শঙ্করের বক্তব্য চলাকালীন উপস্থিত থাকতে রাজি হননি।’
আরও পড়ুন: ‘কানামাছি’ খেলে বেদম সিবিআই, রাজীব রইলেন অন্তরালেই
এ নিয়ে প্রাথমিক ভাবে কোনও মন্তব্য করেননি বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তবে টুইটে তিনি প্রতিক্রিয়া দেন। লেখেন, ‘আমাদের মতে, সন্ত্রাসবাদকে সম্পূর্ণ ভাবে উৎখাত করা শুধুমাত্র ফলপ্রসূ সহযোগিতার ক্ষেত্রে আগাম শর্ত নয়, তা আমাদের নিজেদের এলাকায় বেঁচে থাকার জন্যও আবশ্যিক।’
আরও পড়ুন: শিশুমৃত্যু-কাণ্ডে ‘নির্দোষ’ কাফিল খান, যোগী সরকারকে ক্ষমা চাইতে বললেন চিকিৎসক
কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা খর্ব করার পর থেকেই আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করে যাচ্ছে পাকিস্তান। কিন্তু, সেই কৌশলে তেমন কাজ হয়নি। কূটনৈতিক মহলের একাংশের ব্যাখ্যা, জয়শঙ্করের বক্তৃতা বয়কট করে আসলে ঘুরিয়ে আন্তর্জাতিক মহলকেই আরও এক বার কাশ্মীর নিয়ে বার্তা দিতে চেয়েছেন কুরেশি। প্রাথমিক ভাবে এ দিন নাটকীয় পরিস্থিতি তৈরি হলেও, পরবর্তী সময়ে বক্তৃতা করেন সার্কের অন্যান্য দেশগুলির প্রতিনিধিরা। যেমন আফগানিস্তান, ভুটান, মলদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা এবং নেপাল। আগামী বছর ইসলামাবাদে সার্ক সম্মেলন হওয়ার কথা। এ দিনের পার্শ্ববৈঠকের পর তা নিয়েও ভারতকে বার্তা দিয়েছেন কুরেশি। বলেন, ‘‘ভারত নিজেকে এখনও সার্কের সদস্য ভাবলে স্বাগত।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy