—প্রতীকী ছবি।
লাদাখ-কার্গিলে হরতাল ও মিছিলের মধ্যেই লাদাখ সংক্রান্ত উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটির বৈঠক ডাকল নরেন্দ্র মোদী সরকার।
সাবেক জম্মু-কাশ্মীর রাজ্য ভাগের পরে কেন্দ্রশাসিত লাদাখের উন্নয়নের সুযোগ হয়েছিল মোদী সরকার। কিন্তু তার পরে ক্রমশই হতাশা বেড়েছে লাদাখ-কার্গিলে। রাজ্যের মর্যাদা, সংবিধানের ষষ্ঠ তফসিলের অধীনে মর্যাদা, আলাদা পাবলিক সার্ভিস কমিশন ও লাদাখে দু’টি লোকসভা কেন্দ্রের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছে লাদাখ এপেক্স বডি (ল্যাব) ও কার্গিল ডেমোক্রাটিক অ্যালায়্যান্স (কেডিএ)।
লাদাখবাসীর দাবি বিবেচনা করতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাইয়ের নেতৃত্বে কমিটি গঠন করেছে কেন্দ্র। প্রথমে কমিটির গঠন নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। পরে ফের কমিটি গঠন করা হয়। বর্তমান কমিটিতে রয়েছেন লাদাখের সাংসদ জামিয়াং শেরিং নামগিয়েল, লে ও কার্গিলের পার্বত্য পরিষদের প্রধানেরা। কিন্তু গত বছরের ৪ ডিসেম্বরের পরে আর কমিটির
বৈঠক হয়নি।
প্রথম বৈঠকের পরে লিখিত ভাবে তাদের দাবি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে জানায় ল্যাব ও কেডিএ। তার পরেও কেন্দ্রের তরফে কোনও সাড়া না পেয়ে আজ ‘লে চলো’-র ডাক দেন লাদাখের সমাজকর্মী সোনম ওয়াংচুক ও ল্যাবের নেতৃত্ব। তাঁদের ডাকে পূর্ণ হরতাল পালিত হচ্ছে লে-তে। কার্গিলেও হরতাল ডেকেছে কেডিএ।
এরই মধ্যে ১৯ ফেব্রুয়ারি ফের লাদাখ সংক্রান্ত কমিটির বৈঠক হবে বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে কেন্দ্র। সূত্রের মতে, লোকসভা ভোটের জন্য আদর্শ আচরণ বিধি বলবৎ হওয়ার আগে কয়েকটি দাবি বিবেচনা করতে পারে কেন্দ্র। যেমন নুবরা ও জাঙ্কসর এলাকার জন্য জেলার মর্যাদা, লাদাখের জমি, সংস্কৃতি ও পরিচয় রক্ষার জন্য রক্ষাকবচ, পাবলিক সার্ভিস কমিশন গঠন। কিন্তু রাজ্যের মর্যাদার দাবি বিবেচনা করার কোনও সম্ভাবনা নেই। পাশাপাশি ২০২৬ সাল পর্যন্ত নির্বাচনী কেন্দ্রের সীমা পুনর্বিন্যাসের কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। ফলে দু’টি লোকসভা কেন্দ্র গঠনের দাবিও এখন বিবেচনা করা সম্ভব নয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy