সোশ্যাল মিডিয়ায় সাহায্য চাইলে তিনি ফিরিয়ে দেন না— এমনটাই বলা হয় ভারতের বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ সম্পর্কে। গত কাল ফাদার্স ডে-তে এক বাবাকে তাঁর কিশোরী কন্যার কাছে ফিরিয়ে দিয়ে আরও এক বার সেটা প্রমাণ করলেন তিনি। বিদেশের মাটিতে বসে এমন সাহায্য পেয়ে অভিভূত সেই মেয়ে।
সৌদি আরবে কর্মরত বাবার কাছে গরমের ছুটি কাটাতে গিয়েছিল দশম শ্রেণির ছাত্রী রুক্মিণী শঙ্কর। সেখানে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে সহকারী অধ্যাপক তার বাবা। তাদের এক পারিবারিক বন্ধু ফেসবুকে জানিয়েছিলেন, পথ দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে সৌদি আরবে বিপদে পড়েছেন রুক্মিণীর বাবা শঙ্করকুমার সিংহ ঝা। ওই দুর্ঘটনায় এক ব্যক্তি মারা যান। যার জেরে জেলে ভরে দেওয়া হয় ওই সহকারী অধ্যাপককে। ঘটনাটি ঘটে গত শনিবার। ওই বন্ধুর দাবি, শঙ্করকুমার নির্বিরোধী ভাল মানুষ। কোনও ভাবে ফেঁসে গিয়েছেন।
বিদেশে বাবার ওই অবস্থা দেখে চিন্তায় পড়ে যায় নাবালিকা কন্যা। ফেসবুকে সাড়া পাওয়ার অপেক্ষা না করে সে টুইটারে বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের শরণাপন্ন হয়। গোটা ঘটনা জানিয়ে শনিবারই ‘ম্যাডাম’ সুষমাকে সে অনুরোধ করে জরুরি ভিত্তিতে সাহায্য দরকার তার। সে জানায়, আইনি বিষয়ে কেউ দায়িত্ব নিতে চাইছে না। রবিবার পর্যন্ত যদি দূতাবাসের চিঠি না পৌঁছয়, তা হলে বাবাকে জেলেই থাকতে হবে।
কিশোরী রুক্মিণীর টুইটের জবাবে কিছু ক্ষণের মধ্যেই সুষমা জানান, ‘চিন্তা কোরো না। তোমার বাবার মুক্তির জন্য রিয়াধে ভারতীয় দূতাবাস চেষ্টার কসুর করবে না।’ তার পরেই কাজ হয় মন্ত্রের মতো। এক দিন পরে রবিবার অর্থাৎ ফাদার্স ডে-তে রুক্মিণী টুইটারে নিজেই জানায়, ‘বাবা এখন আমার সঙ্গে। ওকে ছেড়ে দিয়েছে।’ তার পরে সে সুষমা স্বরাজকে বিশেষ ধন্যবাদ দিয়ে লিখেছে, ‘পুরো ব্যাপারটা অসাধারণ। সবাইকে ধন্যবাদ। আমাদের পরিবারের কাছে এটা অনেক।’ এই টুইটের উত্তরে সুষমা লেখেন, ‘এটা ভেবে ভাল লাগছে রুক্মিণী যে ফাদার্স ডে-তে তোমার বাবা তোমার কাছে ফিরে এসেছেন। রিয়াধে ভারতীয় দূতাবাস সবাইকে সাহায্য করতে প্রস্তুত।’
সুষমার সাহায্যের কথা সর্বজনবিদিত। সম্প্রতি ১৭ বছরের মাশাল মাহেশ্বরী মেডিক্যাল পরীক্ষা দেওয়া নিয়ে সমস্যায় পড়ায় টুইটে জানান সুষমাকে। চটজলদি সমাধান খুঁজে দেন বিদেশমন্ত্রী। অভিনব বিন্দ্রার কোচের পাসপোর্ট হারিয়ে যাওয়ার ঘটনাতেও তিনি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy