চিত্রার ‘হিমালয়ের সাধু’-কে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। ছবি— পিটিআই।
ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ (এনএসই)-এর প্রাক্তন এমডি-সিইও চিত্রা রামকৃষ্ণের কাছে তিনি ‘সাধু শিরোমণি’। তাঁর এক কথাতে এনএসই-তে নিয়োগ থেকে কর্মীদের পদোন্নতি করাতেন আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে অভিযুক্তা চিত্রা। তদন্তকারীদের তিনি জানিয়েছিলেন, হিমালয়ের সাধুর কোনও ঠিকানা নেই। যেখানে খুশি প্রকট হতে পারেন তিনি। তবে সিবিআই-র দীর্ঘ তদন্তের পর ফাঁস হল সেই ‘সাধু’র প্রকৃত পরিচয়। বৃহস্পতিবার রাতে তাঁকে গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
তদন্তকারীদের দাবি, চিত্রার ‘গুরুদেব’ আর কেউ নন, তিনি ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জেরই প্রাক্তন মুখ্য কার্যনিবাহী আনন্দ সুব্রহ্মণ্যম। সিবিআই সূত্রে খবর, চেন্নাইয়ে তিন দিনের জেরার পর অবশেষে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশে আগামী ৬ মার্চ পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতে থাকবেন তিনি।
তদন্তকারী সংস্থার সূত্র উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, উনিই সেই ‘সাধু’, যাঁর নির্দেশ (মর্জিমাফিক) অনুযায়ী কাজ করতেন চিত্রা। ২০১৩ থেকে ২০১৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত চিত্রা এনএসই-র এমডি-সিইও থাকাকালীন সংস্থার বহু গোপন তথ্য আনন্দকে ফাঁস করে দিয়েছেন। যে মেল আইডি থেকে সাধুবেশী আনন্দ চিত্রার সঙ্গে সিসিলিতে সমুদ্রস্নানে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন, তার নাম ‘রিজ্ঞজুর্সমা’। যে মেল আইডি থেকে চিত্রাকে তিনি চুল বাঁধার কলাকৌশল শেখাতেন, সেখান থেকেই ফাঁস হত সংস্থার গোপন তথ্য।
সিবিআই-র অভিযোগ, তাদের জিজ্ঞাসাবাদে বহু তথ্য দিতে চাননি আনন্দ। তদন্তে সহায়তা করেননি তিনি। তাই তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আর্জি জানায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy