বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দুদের নাগরিকত্ব দেওয়া নিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে কেন্দ্র। আইন সংশোধন করে ৭ বছরের বেশি ভারতে থাকা হিন্দু শরণার্থীদের নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করার রাস্তাও খুলে দিয়েছে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট এ নিয়ে এনআরসি কর্তৃপক্ষকে কোনও নতুন নির্দেশ না দেওয়ায় হিন্দু বাংলাদেশি এবং ডি-ভোটারদের নাম নতুন নাগরিকপঞ্জিতে তোলা হবে না।
আজ এ কথা জানিয়ে দেন এনআরসি তত্ত্বাবধায়ক তথা রাজ্যের স্বরাষ্ট্র কমিশনার প্রতীক হাজেলা। তিনি জানান, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী ১৯৭১ সালের ২৪ মার্চকে ভিত্তি তারিখ ধরেই নাগরিকপঞ্জি নবীকরণ করা হবে। সেখানে এক লক্ষ ৩৬ হাজার সন্দেহজনক ভোটার বা ডি-ভোটারের নাম বিবেচনার মধ্যেই আনা হবে না। তাঁদের নাগরিকত্বের বিষয় নির্ধারণ করবে আদালত। বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দুদের ব্যাপারেও আদালত কোনও নতুন নির্দেশ দেয়নি। শুধু বলেছে, তাঁদের বের করে দেওয়া যাবে না।
প্রতীকবাবু আরও জানান, এখন পর্যন্ত ভুয়ো নথি দিয়ে নাম তোলার চেষ্টা করা ১৩৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে।
তাঁর হিসেবে জমা পড়া ৬৮ লক্ষ ২৩ হাজার পরিবারের ৬ কোটি ৬৩ লক্ষ আবেদনপত্রের মধ্যে সাড়ে চার কোটি নথির ত্রিস্তরীয় যাচাইয়ের কাজ শেষ হয়েছে। কিন্তু ভিন্ রাজ্যে পাঠানো তথ্যগুলি যাচাই হয়ে আসতে অত্যন্ত বিলম্ব হচ্ছে। বাইরের রাজ্যে পাঠানো ২ লক্ষ ৬৮ হাজার ৩৯৫টি নথির মধ্যে মাত্র ৫ হাজার ২৯টি নথি যাচাই হয়ে ফিরেছে। বিভিন্ন রাজ্য যাতে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নথিগুলি যাচাই করে অসমে ফেরত পাঠায়, তার জন্য কেন্দ্র ও সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হবে রাজ্য।
স্বরাষ্ট্র কমিশনার জানান, নাগরিকপঞ্জির কাজের জন্য রাজ্য কেন্দ্রের কাছে ৭৯৩ কোটি টাকা চাইলেও এখনও পর্যন্ত মাত্র ২৮০ কোটি ১৮ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে পড়ে রয়েছে মাত্র ৪ লক্ষ টাকা। অবিলম্বে আরও টাকা না এলে কাজ থমকে যেতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy