Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

উত্তরপূর্বে নতুন উড়ান হর্নবিলের

আসছে বছর থেকে ‘ধনেশের ডানা’য় ভর করে উত্তর-পূর্বের বিভিন্ন বিমানবন্দরে পৌঁছতে পারবেন এখানকার যাত্রীরা। অ্যালায়েন্স এয়ারের সঙ্গে উত্তর-পূর্ব পরিষদ বা এনইসির চুক্তি শেষ হচ্ছে ডিসেম্বরে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ০২ অক্টোবর ২০১৬ ০৩:১০
Share: Save:

আসছে বছর থেকে ‘ধনেশের ডানা’য় ভর করে উত্তর-পূর্বের বিভিন্ন বিমানবন্দরে পৌঁছতে পারবেন এখানকার যাত্রীরা। অ্যালায়েন্স এয়ারের সঙ্গে উত্তর-পূর্ব পরিষদ বা এনইসির চুক্তি শেষ হচ্ছে ডিসেম্বরে। এনইসি গত দু’বছর থেকেই বিকল্প বিমানসংস্থার খোঁজ চালাচ্ছিল। বেরিয়েছে একাধিক বিজ্ঞাপন। কিন্তু নির্ধারিত মূল্যে বিমান সংস্থাগুলি উত্তর-পূর্বে বিমান চালাতে আগ্রহী হচ্ছিল না। শেষ বিজ্ঞাপনের জবাবে শুধু মাত্র দু’টি আবেদন জমা পড়ে। একটি জেট এয়ারওয়েজের, অন্যটি এএএ অ্যাভিয়েশন প্রাইভেট লিমিটেডের। শেষ পর্যন্ত বরাত পেল এএএ-ই। মাত্র সাড়ে ১৪ কোটি টাকার ভায়াবিলিটি গ্যাপ ফান্ডিংয়ের বিনিময়ে এএএ উত্তর-পূর্বের পাঁচটি বিমানবন্দরে কলকাতা বা গুয়াহাটি থেকে উড়ানের ব্যবস্থা করবে। ব্যবহার করা হবে ৫০ আসনের ছোট বিমান। যার পোশাকি নাম হতে চলেছে ‘ফ্লাই হর্নবিল।’

উত্তর-পূর্বে মেঘালয়ের রি-ভয় জেলার উমরয় বিমানবন্দর, অসমের লখিমপুর জেলার লীলাবাড়ি, তেজপুর ও শিলচর বিমানবন্দর ও মণিপুরের ইম্ফল বিমানবন্দরের মধ্যে এত দিন অ্যালায়েন্স এয়ারের এটিআর-৪২ বিমান চলছিল। ২০১৩ সালের জানুয়ারিতে ভায়াবিলিটি গ্যাপ ফান্ডিংয়ের প্রচুর টাকা বকেয়া থাকায় অ্যালায়েন্স উড়ান বন্ধ করে দেয়। পরে অবশ্য তারা কলকাতা শিলচর, কলকাতা-গুয়াহাটি ও শিলচর-ইম্ফল রুটে উড়ান চালিয়ে যায়। ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে এনইসির সঙ্গে অ্যালায়েন্সের নতুন চুক্তি হয়। ফের উমরয়, তেজপুর, লীলাবাড়ি, শিলচর ও গুয়াহাটিতে অ্যালায়েন্সের এটিআর উড়ান চালু হয়। ওই চুক্তির ফলে এনইসি অ্যালায়েন্সকে বছরে ৪৭ কোটি ৭ লক্ষ টাকার ভর্তুকি দিচ্ছিল।

এনইসির সচিব রাম মুইভা জানান, এ বছর জুনে এনইসির দেওয়ার বিজ্ঞপ্তির জবাবে জেট ও এএএর মধ্যে লড়াই সীমাবদ্ধ ছিল। এএএ-র দর কম থাকায় তারাই দায়িত্ব পায়। নতুন চুক্তিতে এএএকে বছরে সাড়ে ১৪ কোটি টাকা ভর্তুকি দিলেই চলবে। অর্থাৎ বছরে পরিষদের হাতে বাঁচবে প্রায় ৩৩ কোটি টাকা। পরে ডিমাপুরেও হর্নবিল উড়ান শুরু করতে চান। সে জন্য পৃথক চুক্তি হবে।

আগামী জানুয়ারি থেকেই এএএ তাদের ৫০ আসন বিশিষ্ট ‘এমব্রেয়ারার ইআরজে ১৪৫’ বিমানের উড়ান শুরু করবে কলকাতা থেকে উত্তর-পূর্বে। বিমানগুলির মূল ঘাঁটি হবে গুয়াহাটি বিমানবন্দর। ইতিমধ্যে লোকপ্রিয় গোপীনাথ বরদলৈ বিমানবন্দরের এটিআর-১ নিউ অ্যাপ্রনের ঠিকানা দিয়ে ‘ফ্লাই হর্নবিল’-এর ওয়েবসাইটও তৈরি। বুকিং পেজও খুলছে। ক্রিস্টাল গ্রুপের এই উড়ান পরিষেবা এতদিন চার্টার্ড বিমান, পর্যটন ও প্রমোদ ভ্রমণ, মাল বহনের কাজ করত। এই প্রথম তারা নিয়মিত যাত্রী পরিবহণে নামছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Hornbill Aircraft
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE