প্রত্যাশার তুলনায় শুক্রবার রাতের মধ্যে অনেক বেশি পুণ্যার্থী হাজির হয়েছিলেন গোয়ার শিরগাঁও মন্দিরে। প্রায় ৭০ হাজার পুণ্যার্থীর জমায়েত হওয়ায় নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় ভিড়। যার জেরে ধাক্কাধাক্কি, ঠেলাঠেলি শুরু হয়ে যায়। সকলেই সামনের দিকে এগোনোর চেষ্টা করেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের একটি অংশের দাবি, যখন প্রবল ঠেলাঠেলি আর ধাক্কাধাক্কি চলছিল, সেই সময় দু’দল পুণ্যার্থীর মধ্যে গন্ডগোল বেধে যায়। তার পরই হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। আতঙ্কে অনেকেই ভিড় ঠেলে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করেন। তখনই পদপিষ্টের ঘটনা ঘটে।
লাইরাই দেবী মন্দিরের সভাপতি তথা আইনজীবী দীননাথ গাঁওকর বলেন, ‘‘শোভাযাত্রার সময় ৫০-৭০ হাজার মানুষের জমায়েত হয়েছিল। এত ভিড় হয়েছিল যে, পুণ্যার্থীদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি হচ্ছিল। আমরা অনেকেই তাঁদের সামলানোর চেষ্টা করি। কিন্তু কেউ আমাদের অনুরোধ কানে তোলেননি। তার মধ্যেই এক ব্যক্তি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। তিনি ভিড়ের মাঝে পড়ে যেতেই আতঙ্ক ছড়ায়। অন্য দিকে, ধাক্কাধাক্কির জেরে কয়েক জন পড়ে যান। গন্ডগোল শুরু হয়। তার জেরেই পদপিষ্টের ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করছি।’’
উত্তর গোয়ার পুলিশ সুপার অক্ষত কৌশল শনিবার জানিয়েছেন, পদপিষ্টের সঠিক কারণ কী তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তিনি আরও জানান, পুলিশের কাছে খবর আসে গুজবের জেরে হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে যায়, তার পরই পদপিষ্টের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। এই ঘটনায় সাত জন পুণ্যার্থীর মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ৮০ জনেরও বেশি।