মন্দিরের দরজা খুললেই দেবীর রক্তবস্ত্র নিতে ভক্তদের কয়েক কিলোমিটার দীর্ঘ লাইন পড়তে পারে কামাখ্যায়। অম্বুবাচী মেলার শেষ দিন দর্শনার্থীদের স্রোত দেখে এমন অনুমান করছেন মন্দির কর্তৃপক্ষ। তাঁদের বক্তব্য, দেশ জুড়ে প্রচার, আরও বেশি সুযোগ-সুবিধার পরিকাঠামোয় এ বছর ভিড়ে নজির গড়েছে অম্বুবাচী মেলা। আজ মেলার শেষে রাত ১২টায় কামাখ্যায় ভক্তদের প্রবেশ বন্ধ হবে। পূজার্চনার পরে সোমবার সকাল ৮টায় খুলবে মন্দিরের সিংহদুয়ার।
অম্বুবাচী মেলা নিয়ে এ বার দেশের বিভিন্ন প্রান্তে রোড-শো, প্রচার করে অসম পর্যটন। কাটরা থেকে কামাখ্যা পর্যন্ত সরাসরি ট্রেন চালু হয়। পর্যটকদের টানার সরকারি পদক্ষেপ অনেকটাই সফল। প্রশাসনিক হিসেবে, দেশ-বিদেশ মিলিয়ে মেলায় পা পড়েছে ১২ লক্ষ মানুষের। অম্বুবাচী মেলার সময় ভিড় ও নোংরা পরিবেশের ভয়ে নীলাচল পাহাড় এড়িয়ে চলতেন গুয়াহাটিবাসী। তাঁরাও এ বার এসেছেন মেলায়।
ভক্তের ভিড় বাড়লেও পর্যটনকে বিলাসবহুল করতে এটিডিসি যে দু’দিন, এক রাতের ‘অম্বুবাচী প্যাকেজ ট্যুর’ আয়োজন করেছিল, তা সফল হয়নি। প্রশান্তি কটেজ, বিলাসবহুল বজরা ‘মহাবাহু’, ব্রহ্মপুত্রের পাশে ও চক্রেশ্বর দেবালয় চত্বরে শীতাতপনিয়ন্ত্রিত তাঁবুতে থাকা, বিনা লাইনে মন্দির দেখার খরচ ছিল জনপ্রতি ৬ থেকে ২০ হাজার টাকা। ৩০টি আসনের মধ্যে মাত্র তিনটি সংরক্ষণ করা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy