সরকারি বৈঠকে জনপ্রতিনিধির পাশে বসে রয়েছেন স্বামী! ‘পঞ্চায়েত’ সিরিজের ফুলেরা গ্রাম নয়, দিল্লি সরকারের বৈঠক। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তের পাশে একটি বৈঠকে বসে থাকতে দেখা গেল তাঁর স্বামী মণীশ গুপ্তকে। বিরোধী দল আপ (আম আদমি পার্টি)-এর প্রশ্ন, সরকারি পদাধিকারী না হয়েও কেন ওই বৈঠকে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীর স্বামী?
দিল্লির শালিমার বাগ কেন্দ্রের উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে রবিবার বৈঠকে বসেন রেখা। বৈঠকের কথা জানিয়ে, ছবি দিয়ে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। সেই ছবিতে দেখা গিয়েছে, রেখার পাশে হলুদ জামা পরে বসে রয়েছেন তাঁর স্বামী। দিল্লি বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা সৌরভ ভরদ্বাজ এই নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি জানিয়েছেন, কেন সরকারি বৈঠকে নিজের স্বামীকে উপস্থিত থাকার অনুমতি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই বিষয়টিকে ‘অসাংবিধানিক’ বলেও জানিয়েছেন তিনি।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্ত। পাশে স্বামী মণীশ গুপ্ত। ছবি: এক্স থেকে।
সৌরভ ফুলেরা গ্রামের তুলনাও টেনেছেন। এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্টে লিখেছেন, ‘‘দিল্লি সরকার এখন ফুলেরা পঞ্চায়েত হয়ে গিয়েছে। ফুলেরায় যেমন মহিলা পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী পঞ্চায়েত প্রধানের ভূমিকা পালন করতেন, আজ দিল্লিতেও মুখ্যমন্ত্রীর স্বামী সরকারি বৈঠকে বসে রয়েছেন। এটা অসাংবিধানিক। দেশের রাজধানীতে গণতন্ত্র এবং সাংবিধানিক ব্যবস্থার পরিহাস হচ্ছে।’’ আপ নেতা সঞ্জয় সিংহ কটাক্ষ করে লিখেছেন, ‘‘দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী দু’জন মুখ্যমন্ত্রী নিয়োগ করেছেন।’’
আরও পড়ুন:
বিজেপি নেতা হরীশ খুরানা আপের অভিযোগ উড়িয়ে জানিয়েছেন, মণীশ শুধু মুখ্যমন্ত্রী রেখার স্বামী নন, একজন সমাজসেবীও। তিনি শালিমার বাগ বিধানসভা কেন্দ্রের দেখভাল করেন। সেখানকার মানুষের প্রতিনিধি হয়েই ওই বৈঠকে ছিলেন। বিজেপির তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের প্রধান অমিত মালবীয় বিরোধীদের উদ্দেশে বলেন, ‘‘রেখা মহিলা বলেই তাঁকে এ ভাবে নিশানা করা বন্ধ করুন।’’
প্রসঙ্গত, এর আগেও গত এপ্রিলে দিল্লিতে একটি সরকারি বৈঠকে মণীশকে উপস্থিত থাকতে দেখা গিয়েছিল। সেই বৈঠকে রেখাকে দেখা যায়নি। আর এর সঙ্গেই ‘পঞ্চায়েত’ সিরিজের মিল খুঁজছেন বিরোধী আপ নেতারা। সেই সিরিজ়ে ফুলেরা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মঞ্জু দেবী ঘর সামলাতেন। তাঁর হয়ে সরকারি কাজ সামলাতেন স্বামী বৃজভূষণ দুবে।