তাঁদের বিয়ে হয়েছিল গত ৫ মে। ঘটনাচক্রে, তার পর দিন রাতে ‘অপারেশন সিঁদুর’ দিয়ে পাকিস্তানে প্রত্যাঘাত করে ভারত। তার পর থেকেই দু’দেশের মধ্যে সামরিক অস্থিরতার পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। বিয়ের তিন দিন পরই সেনায় কর্মরত স্বামীকে অশ্রুসজলে চোখে বিদায় জানিয়ে নববধূ বললেন, ‘‘দেশরক্ষায় আমার সিঁদুর পাঠাচ্ছি।’’
মহারাষ্ট্রের জলগাঁওয়ের যুবক মনোজ দানেশ্বর পাতিল। গত ৫ মে তাঁর বিয়ে হয় কলমসরা গ্রামের তরুণী যামিনীর সঙ্গে। বিয়ে উপলক্ষে ছুটি নিয়ে বাড়িতে এসেছিলেন সেনাকর্মী মনোজ। বিয়ের পর দিনই মনোজের কাছে নির্দেশ আসে দ্রুত সদর দফতরে হাজির হয়ে রিপোর্ট করতে হবে। সেই নির্দেশ পাওয়ামাত্রই বিয়ের তিন দিন পর, অর্থাৎ ৮ মে রওনা দেন মনোজ।
নববধূ যামিনী জানিয়েছেন, তিনিও চান যে ভাবে জঙ্গিরা পর্যটকদের খুন করেছে, সেই বদলা নিক ভারত। তাঁর স্বামীর হাতে দেশরক্ষার ভার। তাই এই পরিস্থিতিতে কোনও আক্ষেপ নেই তাঁর। স্বামীকে স্টেশনে ছাড়তে এসে কান্না লুকোনোর চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু পারেননি। অশ্রুসজল চোখে স্বামীকে বিদায় জানিয়েও যামিনী বলেন, ‘‘দেশরক্ষার থেকে বড় কিছু হতে পারে না। দেশরক্ষায় আমার সিঁদুর পাঠিয়ে দিয়েছি ওর সঙ্গে।’’
গত ৬ মে মধ্যরাতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রত্যাঘাত করে ভারত। সেই অভিযানের নাম দেওয়া হয় ‘অপারেশন সিঁদুর’। কিন্তু কেন এই নামকরণ? প্রত্যাঘাতের নামে কেন ‘সিঁদুর’ রাখা হল? সেনা সূত্রের খবর, ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামে সায় দিয়েছিলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই নামেই পহেলগাঁওয়ের ঘটনার যোগ্য জবাব দেওয়া যাবে বলে সিদ্ধান্ত হয়। পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের উপর যে ভাবে হামলা হয়েছিল, ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামে তার ছায়া রয়েছে।