ফাইল চিত্র।
বাবুল সুপ্রিয়ের পরেই সদ্য দল ছেড়েছেন অর্জুন সিংহ। তা সত্ত্বেও বাংলায় দলের পরিস্থিতি ‘বিশেষ উদ্বেগজনক নয়’ বলেই দাবি বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বের। দলীয় সূত্রের বক্তব্য, অন্য দল থেকে আগত-রাই বিজেপি ছেড়েছেন। আদি কর্মীরা বিজেপির সঙ্গেই রয়েছেন। কিছু ক্ষেত্রে তাঁরা মনঃক্ষুণ্ণ হলেও, আগামী দিনে ঠিক নেতৃত্ব পেলে চাঙ্গা হয়ে উঠবেন। আজ কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্বের আশ্বাস, দ্রুত জাতীয় নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) চালু করে নাগরিকত্ব দেওয়ার কাজ শুরু করবে মোদী সরকার।
দীর্ঘ সময় ধরেই পশ্চিমবঙ্গের মতুয়া সমাজ সিএএ আইন চালু করার পক্ষে সরব। ২০১৯-এর লোকসভা এবং ২০২১ এর বিধানসভার আগে ওই আইন আনার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট করিয়ে নিয়েছিলেন বিজেপি নেতৃত্ব। কিন্তু ওই আইন পাশ হওয়ার দু’বছর পার হওয়া সত্ত্বেও এখনও আইনের রূপরেখা তৈরি করে উঠতে পারেনি অমিত শাহের মন্ত্রক। এই গড়িমসিতে ক্ষুব্ধ মতুয়াদের একাংশ মুখ ফিরিয়েছেন। রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব তাই চাইছেন, চব্বিশের লোকসভার আগে যেন ওই আইনের প্রয়োগ শুরু হয়ে যায়। না হলে, গত লোকসভায় জেতা আসনগুলি হাতছাড়া হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কবে সিএএ আইন প্রয়োগ শুরু হবে, আজ সরকারের এক শীর্ষ মন্ত্রীর কাছে জানতে চাইলে তাঁর দাবি, খুব দ্রুত এই আইন প্রয়োগ করা হবে। বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই দলীয় কোন্দলে জেরবার হয়ে রয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব। এই পরিস্থিতিতে জুনের প্রথম সপ্তাহে পশ্চিমবঙ্গ সফরে যাচ্ছেন বিজেপি-র জাতীয় সভাপতি জে পি নড্ডা। রাজ্যের বুথ কেন্দ্রিক কমিটি গঠনের কাজ কত দূর এগিয়েছে, তা দেখা ছাড়াও মোদী সরকারের ৮ বছর পূর্তিতে প্রান্তিক মানুষের কাছে পৌঁছনোর কর্মসূচি খতিয়ে দেখবেন তিনি।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy