বিদেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে রাহুল গাঁধী বুঝিয়ে দিলেন, কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে পাকিস্তানি মদতে পুষ্ট সন্ত্রাস সম্পর্কে কড়া অবস্থানই নেবে।
করতারপুর করি়ডর খুলে ভারতকে ‘সদর্থক’ কূটনীতিতে ফিরতে বাধ্য করা গিয়েছে বলে দাবি করেছিলেন পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। সেইসঙ্গে কাশ্মীরে হিংসা, ভারতে অসহিষ্ণুতার পরিবেশ তৈরির অভিযোগ নিয়ে মোদীকে কোণঠাসা করার চেষ্টা করেছেন তিনি। জবাবে লোকসভা ভোটের আগে ‘সার্জিকাল স্ট্রাইক’-এর প্রসঙ্গ তুলে পাকিস্তানের প্রতি কঠোর মনোভাব নেওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছেন নরেন্দ্র মোদী।
কাশ্মীর ও পাকিস্তান প্রশ্নে নরেন্দ্র মোদী সরকারের কঠোর সমালোচক রাহুল। তাঁর মতে, পাকিস্তানের সঙ্গে ধারাবাহিক নীতি নিয়ে চলতে পারেননি মোদী। পাশাপাশি কাশ্মীরেও সরকারের নীতি ব্যর্থ হওয়ায় হিংসা বন্ধ হয়নি বলে মনে করেন কংগ্রেস সভাপতি।
আজ সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরানের তরফে শান্তি প্রক্রিয়া শুরুর চেষ্টা নিয়ে প্রশ্ন করা হয় কংগ্রেস সভাপতিকে। তিনি বলেন, ‘‘আমি সব সময়েই পাকিস্তানের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক চাই। কিন্তু নিরীহ ভারতবাসীর বিরুদ্ধে হিংসা আমি বরদাস্ত করব না।’’ তাঁর কথায়, ‘‘ভারতে আমরা ক্ষমতায় এলে পাকিস্তান সম্পর্কে কড়া নীতি নেওয়া হবে। জঙ্গি কার্যকলাপে মদত দিলে পাকিস্তান ভারতের কাছ থেকে ভাল আচরণ আশা করতে পারে না।’’ রাজনীতিকদের মতে, লোকসভা ভোটের আগে প্রবল বাক্যুদ্ধ চলছে মোদী-রাহুলের। অনেক ক্ষেত্রেই কংগ্রেস ‘পাকিস্তানের ভাষা’ বলছে বলে দাবি করেছে বিজেপি। এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেসের জাতীয়তাবাদী অবস্থান ফের স্পষ্ট করার প্রয়োজন ছিল। আরবের মাটিতে দাঁড়িয়ে সেটাই করলেন রাহুল। সেইসঙ্গে বার্তা দিলেন, অভ্যন্তরীণ রাজনীতির লড়াই থাকলেও জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্নে কংগ্রেস কোনও সমঝোতা করতে রাজি নয়। এক কংগ্রেস নেতার কথায়, ‘‘ভুললে চলবে না, ইউপিএ জমানাতেও নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে আঘাত হেনেছিল ভারতীয় সেনা। আমরা কেবল মোদী সরকারের মতো সেনার কৃতিত্বকে রাজনৈতিক প্রয়োজনে ব্যবহার করতে চাইনি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy