আইআইএমে ঘুমিয়ে প্রতিবাদ ছবি: এক্স।
তাপমাত্রার পারদ রোজই ছাড়িয়ে যাচ্ছে ৪২ ডিগ্রির গণ্ডি। কখনও কখনও ৪৫ ডিগ্রিও পেরিয়ে যাচ্ছে তাপমাত্রা। গরম অনুভূত হচ্ছে ৫২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মতো। এই দাবদাহের পরিস্থিতিতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র বা এসি ছাড়া টেকা মুশকিল। অথচ, প্রতিষ্ঠানের তরফে এসির বন্দোবস্ত করা হচ্ছে না। হস্টেলে হাঁসফাঁস করতে হচ্ছে পড়ুয়াদের। এসির দাবিতে তাই অমৃতসরের আইআইএমে (ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট) অভিনব পদ্ধতিতে বিক্ষোভ দেখালেন পড়ুয়ারা। তাঁরা হস্টেলের ক্যান্টিনে ‘ঘুমিয়ে’ পড়লেন একসঙ্গে।
অভিযোগ, আইআইএম অমৃতসরের হস্টেলের ঘরগুলিতে কোনও এসি নেই। ছাত্রছাত্রীরা যেখানে থাকেন, সেখানে গরমে টেকা যায় না। হস্টেলের ক্যান্টিনে কেবল এসির বন্দোবস্ত করা হয়েছে। এসির দাবিতে দীর্ঘ দিন ধরে ওই প্রতিষ্ঠানের পড়ুয়ারা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। কিন্তু কর্তৃপক্ষ তাঁদের দাবিতে কর্ণপাত করছেন না বলে অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে অভিনব পন্থায় বিক্ষোভ দেখানোর সিদ্ধান্ত নেন পড়ুয়ারা। এসিযুক্ত ক্যান্টিনে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ার ভঙ্গিতে সকলে বসে পড়েন। সেই বিক্ষোভের ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে সমাজমাধ্যমে।
ভাইরাল ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, চেয়ারে লাইন দিয়ে বসে পড়ুয়ারা সামনের টেবিলে মাথা পেতে দিয়েছেন। সকলেই মাথা নিচু করে ঘুমোনোর ভান করছেন। এক জন ছাত্রকে টেবিলের উপর উঠে শুয়ে থাকতেও দেখা গিয়েছে। এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।
ভিডিয়োটি ঘিরে সমাজমাধ্যমে আলোড়ন তৈরি হয়েছে। অনেকেই আইআইএমের পড়ুয়াদের স্পর্ধাকে কুর্নিশ জানিয়েছেন। তাঁরা যে দাবিতে আন্দোলন করছেন, তাকে সমর্থনও করেছেন নেটাগরিকেরা। সমাজমাধ্যমে ওই প্রতিষ্ঠানের প্রাক্তন পড়ুয়ারাও এসির সমস্যার কথা জানিয়েছেন। অমৃতসরে এসি যে কতটা প্রয়োজনীয়, তা-ও জানিয়েছেন অনেকে। দেশের প্রথম সারির প্রতিষ্ঠান হওয়া সত্ত্বেও কেন পড়ুয়াদের জন্য এসির বন্দোবস্ত করছে না আইআইএম, সেই প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।
পঞ্জাবে গত কয়েক দিন ধরে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। শুক্রবার তাপমাত্রা পৌঁছে গিয়েছিল ৪৪.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy