ব্যক্তিগত নিরাপত্তার কারণে অস্ত্র বহনের ক্ষেত্রে উত্তর ত্রিপুরার জেলা প্রশাসন নির্ধারিত সংখ্যার থেকে বেশি গুলি রাখার অপরাধে ত্রিপুরা হাইকোর্ট আজ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বীরজিত্ সিংহকে দোষী সাব্যস্ত করল। তাঁর তিন মাসের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। আদালতে আত্মসমর্পণের জন্য এক মাস সময় দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০০৪-এ রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উত্তর ত্রিপুরার কংগ্রেস ও সিপিএম কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে রাজনৈতিক সংঘর্ষে বিধায়ক বীরজিত্ সিংহ আক্রান্ত হন। কৈলাশহরের কংগ্রেস বিধায়ক বীরজিত্ সিংহের প্রাণ বাঁচাতে তাঁর দেহরক্ষীকে সেই গুলি ছুড়তে হয়। সেই ঘটনায় বীরজিত্বাবুর দেহরক্ষীও হামলাকারীদের গুলিতে প্রাণ হারান।
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা সুদীপ রায়বর্মনের বক্তব্য, সে দিন ঘটনায় সিপিএমের ‘পরিকল্পিত আক্রমণ’-এর হাত থেকে কোনওক্রমে প্রাণে বাঁচেন বীরজিত্বাবু। হাইকোর্টের রায়ের পর সুদীপবাবু বলেন, ‘‘অস্ত্র আইন লঙ্ঘনের কারণে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির তিন মাসের জেল হাজত হয়নি। তত্কালীন উত্তর ত্রিপুরার জেলাশাসকের নির্দেশ লঙ্ঘনের কারণেই আদালত এই রায় দিয়েছে।’’ তিনি জানান, কংগ্রেসের সমস্ত নেতা-কর্মীরাই প্রদেশ সভাপতির সঙ্গে থাকবেন। এবং হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাজ্য কংগ্রেস সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করবে।
সেই সময়ে উত্তর ত্রিপুরার জেলাশাসক বীরজিত্বাবুকে ব্যক্তিগত নিরাপত্তার কারণে ১২টি বুলেট ‘সঙ্গে রাখার’ অনুমতি দিয়েছিলেন। কিন্তু বীরজিত্বাবুর মোট ৫০ বুলেট রাখার অনুমতি ছিল বলে দাবি। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, বিধায়ক বীরজিত্ সিংহ সে দিন ঘটনার সময়ে ১৭টি বুলেট অর্থাত্ পাঁচটি অতিরিক্ত বুলেট সঙ্গে রেখেছিলেন। আইনপ্রণেতার ভূমিকায় যে ব্যক্তি রয়েছেন, তাঁর পক্ষে ‘জেলাপ্রশাসনের নির্দেশের’ ব্যাখ্যা না জানাটা আইনের দৃষ্টিতে গ্রহণযোগ্য নয় বলে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি দীপক গুপ্ত এবং বিচারপতি শুভাশিস তলাপাত্রের ডিভিশন বেঞ্চ মন্তব্য করেছেন।