পরিবারের সদস্যদের খুনের পর বাড়ি-সহ তাঁদের পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ জোধপুরে। ছবি: সংগৃহীত।
একই পরিবারের পাঁচ সদস্যকে খুনের পর আগুন ধরিয়ে দেওয়া হল বাড়িতে। আক্রমণের হাত থেকে ছাড় পেল না ছয় মাসের শিশুও। পুলিশ এসে পুড়ে খাক হয়ে যাওয়া দেহগুলো উদ্ধার করেছে। ঘটনাস্থল রাজস্থানের জোধপুর। প্রাথমিক তদন্তের পুলিশের অনুমান, কোনও ঘটনায় প্রতিহিংসাবশত এই কাজ করেছেন অভিযুক্তরা। এমন নৃশংস ঘটনায় চাঞ্চল্য জোধপুরের ওসিয়ার রামনগর গ্রাম পঞ্চায়েতে।
পুলিশ ইতিমধ্যে সমস্ত দেহ চিহ্নিত করেছে। জানা গিয়েছে মৃতদের নাম। মৃত্যু হয়েছে পুনারাম (৬০) নামে এক বৃদ্ধের। তাঁর স্ত্রী ভানুয়ারি দেবীরও (৫৫) প্রাণ গিয়েছে। ঘুমন্ত অবস্থাতে তাঁদের খুন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পাশাপাশি ঘরের মধ্যে একটি খাটিয়ায় ঘুমিয়ে ছিলেন পুনারামের বৌমা ধাপু (২৫) এবং মেয়ে মনীষা। তাঁরাও প্রাণ হারিয়েছেন। এছাড়া ওই পরিবারের একরত্তি শিশুকেও খুনের অভিযোগ উঠেছে। কোনও কোনও সংবাদমাধ্যম দাবি করেছে, শিশুটির বয়স ছিল পাঁচ বছর। তবে সংবাদ সংস্থা আইএএনএসের দাবি, শিশুটির বয়স মাত্র ছ’মাস।
একসঙ্গে পরিবারের পাঁচ সদস্যের এ ভাবে প্রাণ হারানোর ঘটনাকে খুন বলেই মনে করছে রাজস্থান পুলিশ। পুলিশ সুপার ধর্মেন্দ্র সিংহ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘প্রাথমিক তদন্তের পর আমাদের অনুমান প্রথমে চার জনকে খুন করা হয়েছে। পরে বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়ে পালিয়েছেন আততায়ী।’’ কিন্তু অভিযুক্ত কে বা কারা, তা এখনও পরিষ্কার নয়। পুনারামের ছেলের খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশ গ্রামবাসীদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। অন্য দিকে, ঘটনাস্থলে গিয়েছে ফরেন্সিক দল। তারা বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষাগারে পাঠাচ্ছে।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে জোর রাজনৈতিক চাপানউতর শুরু হয়ে গিয়েছে। বিজেপি ধিক্কার মিছিল বার করেছে এলাকায়। বিজেপির অন্যতম মুখপাত্র শেহজাদ পুনাওয়ালা টুইটে লেখেন, ‘‘অশোক গহলত সরকারের আমলে আইনশৃঙ্খলার জলাঞ্জলি হয়েছে। জোধপুরের একই পরিবারের পাঁচ সদস্যকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। পরে পুড়িয়ে মারা হল। তার মধ্যে রয়েছে এক ছ’মাসের শিশুও। কিছু দিন আগে ১৯ বছরের দলিত কন্যাকে ধর্ষণের পর খুন হতে দেখা গিয়েছে। রাজস্থানে কংগ্রেস জমানায় সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা বলে কিছু নেই।’’
শেষ পর্যন্ত পাওয়া খবরে পুলিশ এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। তিনি মৃতদের আত্মীয় বলে খবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy