Advertisement
E-Paper

দিল্লিতে প্রাসাদোপম সদর দফতরে উঠে গেল বিজেপি

রাজধানীতে জাতীয় রাজনৈতিক দলগুলিকে ল্যুটিয়েন্সের বাংলো জোন ছেড়ে অন্যত্র দলীয় দফতর বানানোর যে নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট, তার পর বিজেপি-ই প্রথম কোনও গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় দল যারা শীর্ষ আদালতের সেই নির্দেশ মেনে তাদের সদর দফতর অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে গেল।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ১৮:৩৭
দিল্লিতে বিজেপি’র নতুন সদর দফতর।

দিল্লিতে বিজেপি’র নতুন সদর দফতর।

নতুন বছরে রাজধানী দিল্লিতে প্রাসাদোপম নতুন সদর দফতর পেল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)

১১ নম্বর অশোকা রোডের সাবেক ঠাঁই বদলিয়ে রবিবার ৫ কিলোমিটার দূরে ৬ নম্বর দীনদয়াল উপাধ্যায় মার্গের নতুন ঝকঝকে-তকতকে সদর দফতরে ‘গৃহপ্রবেশ’ করল কেন্দ্রের শাসক এনডিএ জোটের প্রধান শরিক।

রাজধানীতে জাতীয় রাজনৈতিক দলগুলিকে ল্যুটিয়েন্সের বাংলো জোন ছেড়ে অন্যত্র দলীয় দফতর বানানোর যে নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট, তার পর বিজেপি-ই প্রথম কোনও গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় দল যারা শীর্ষ আদালতের সেই নির্দেশ মেনে তাদের সদর দফতর অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে গেল।

দু’একর বা ১২০ কাঠা জমির উপর গড়ে ওঠা বিজেপি’র নতুন সদর দফতরে রয়েছে মোট তিনটি ব্লক। প্রধান ব্লকটি ৮ তলার। বাকিগুলি ৪ তলার। ঘরের সংখ্যা ৭০।

৪ তলার ওই দু’টি ব্লকেই থাকার ঘর রয়েছে বিজেপি সভাপতি ও দলের প্রবীণ নেতাদের জন্য। এক সঙ্গে অন্তত ২০০টি গাড়ি রাখার জন্য সদর দফতরেই আলাদা ভাবে রয়েছে ‘কার পার্কিং জোন’। প্রচুর ক্যান্টিন থাকবে দলের নেতা ও বাইরে থেকে যাঁরা দেখা করতে আসবেন, তাঁদের জন্য। সদর দফতরের মূল ব্লকের সামনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, প্রবীণ নেতা লালকৃষ্ণ আডবাণী ও অটলবিহারী বাজপেয়ী সহ গুরুত্বপূর্ণ নেতৃত্বের কাট-আউট রাখা হয়েছে।

আরও দেখুন- নীরবের মতো আরও যাঁরা দেশ থেকে পালিয়েছেন​

আরও পড়ুন- সরব মোদী বললেন, তাঁর পরীক্ষা উনিশে​

২০১৬ সালের অগস্টে দলের নতুন সদর দফতরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

বিজেপি সূত্রের খবর, মুম্বইয়ের একটি নির্মাণ সংস্থার বানানো বিজেপি’র নতুন সদর দফতরকে প্রযুক্তিগত ভাবে ও যোগাযোগ ব্যবস্থার নিরিখে সর্বার্থেই করে তোলা হয়েছে সর্বাধুনিক। দেশের প্রতিটি রাজ্যের প্রত্যেকটি জেলায় দলের ইউনিটগুলির সঙ্গে প্রতি মুহূর্তে যোগাযোগ রেখে চলার জন্য যাবতীয় প্রযুক্তিই রয়েছে বিজেপি’র নতুন সদর দফতরে। রয়েছে ওয়াইফাই ব্যবস্থা। রয়েছে বিশাল কনফারেন্স হল ও ডিজিটাল লাইব্রেরি। কনফারেন্স হল আর ডিজিটাল লাইব্রেরির সঙ্গে প্রযুক্তিগত ভাবে প্রতি মুহূর্তে যোগাযোগ থাকবে দলের রাজ্য ও জেলাগুলির সদর দফতরের।

২০১৯ সালের সাধারণ নির্বাচনকে মাথায় রেখেই এই ডিজিটাল ব্যবস্থা বলে বিজেপি সূত্রে জানানো হয়েছে।

*এই প্রতিবেদনে প্রথমে ভুলবশত অটলবিহারী বাজপেয়ীকে ‘প্রয়াত নেতা’ বলে লেখা হয়েছিল। ভ্রান্তিটি নজরে আসা মাত্রই তা সংশোধন করা হয়েছে। অনিচ্ছাকৃত এই ত্রুটির জন্য আমরা দুঃখিত।

BJP Deen Dayal Upadhyay Marg Ashoka Road বিজেপি দীনদয়াল উপাধ্যায় মার্গ
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy