ফাইল চিত্র।
বিস্তর প্রচার করে ঢাকঢোল পিটিয়ে বদলানো হয়েছে স্টেশনের নাম। স্টেশন চত্বর এমনিতে সাফসুতরো করা হয়েছে। বদলানো হয়েছে স্টেশনের রংও। কিন্তু সবচেয়ে বেশি যেটা বদলানোর দরকার ছিল, মোগলসরাই (অধুনা দীনদয়াল উপাধ্যায়) স্টেশনের সেই পরিকাঠামো পড়ে আছে মান্ধাতার আমলেই। এই প্রসঙ্গেই দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনের সার্বিক পরিকাঠামো নিয়ে আজ নিজেদের রিপোর্টে (২০১৭) সরব হল সিএজি।
কন্ট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (সিএজি)-র রিপোর্টে বলা হয়েছে, পূর্ব ও উত্তর ভারতের অন্যতম যোগসূত্র মোগলসরাই দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনও বটে। ওই স্টেশনের উপর দিয়ে রোজ মোট ১৪০টি দূরপাল্লার ট্রেন যায়। তাদের মধ্যে ২৮টি ট্রেন আবার মোগলসরাই থেকেই ছাড়ে। গোটা স্টেশনে ৮টি প্ল্যাটফর্ম থাকলেও তার মধ্যে মাত্র চারটি প্ল্যাটফর্মে ২৪ কোচের গাড়ি দাঁড়াতে পারে। সিএজি সমীক্ষায় দেখেছে যে, বহু ক্ষেত্রেই ২০ থেকে ২৪ কামরার ট্রেন ৬ নম্বর প্ল্যাটফর্মে এসে দাঁড়ায়। প্ল্যাটফর্মের দৈর্ঘ্য কম হওয়ায় শেষের দিকের কামরার যাত্রীদের প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে মালপত্র সমেত গাড়িতে উঠতে বা নামতে হচ্ছে। অথচ, দীর্ঘ দিন আগেই আটটি স্টেশনের দৈর্ঘ্য বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল। হয়নি সিগন্যালিংয়ের কাজও। ২০১২ সালে অত্যাধুনিক সিগন্যালিং ব্যবস্থা বসানোর প্রকল্প মঞ্জুর হলেও এ বছরের এপ্রিল পর্যন্ত সেই কাজ শেষ হয়নি বলেই জেনেছে সিএজি।
সিগন্যালিং ব্যবস্থার আধুনিকীকরণ না হওয়া, প্ল্যাটফর্মের সংখ্যা না বাড়া প্রভাব ফেলছে ট্রেন পরিচালনায়। মোগলসরাই স্টেশনে ঢোকার আগে প্রায় প্রতিটি যাত্রী ট্রেনকে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে আউটার সিগন্যালে বা আগের স্টেশনগুলিতে। রিপোর্ট অনুযায়ী, ২২১টি লোকাল ও দূরপাল্লার ট্রেনে সমীক্ষা চালিয়ে দেখা গিয়েছে, মোট ৪৩৩৮ মিনিট দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে ট্রেনগুলিকে! যার অর্থ, মোগলসরাই স্টেশনে ঢুকতে গড়ে কুড়ি মিনিট অপেক্ষা করতে হচ্ছে প্রত্যেক ট্রেনকে। এ ছাড়া যে ট্রেনগুলি মোগলসরাই থেকে ছাড়ে, সেগুলি সাফ করার জন্য লাইনের পাশে জলের লাইন পর্যন্ত নেই। ফলে ট্রেন সাফাইয়ের জন্য অন্য স্টেশনের উপরে নির্ভরশীল মোগলসরাই। অবিলম্বে পরিকাঠামো উন্নয়নে নজর দিতে পরামর্শ দিয়েছে সিএজি।
দেশজোড়া ঘটনার বাছাই করা বাংলা খবর পেতে পড়ুন আমাদের দেশ বিভাগ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy