মহিলা নিগ্রহ আর গণপিটুনি নিয়ে লালকেল্লা থেকে মুখ খুলেছেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু এমন ‘রাক্ষসের মানসিকতা’ রুখতে তাঁর দাওয়াই, ফাঁসির সাজার আরও বেশি প্রচার। তাঁর কথায়, ‘‘সরকার নয়, সমাজকেই এই বিকৃতি মুক্তির দায়িত্ব নিতে হবে।’’
এটুকু ছাড়া প্রধানমন্ত্রী আজ গণপিটুনি নিয়েও কোনও কড়া বার্তা দিলেন না। বিহার, উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা, রাজস্থানের মতো রাজ্যে একের পর এক ধর্ষণ-কাণ্ডেরও আলাদা করে উল্লেখ করলেন না। বিরোধীদের অভিযোগ, নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতায় আসার পরেই গণপিটুনি, মহিলা নিগ্রহ বেড়েছে। যার বেশির ভাগই হচ্ছে বিজেপি শাসিত রাজ্যে। এমনকী বিজেপির বিধায়ক-নেতারাও অভিযুক্ত। অথচ অভিযুক্তদের মদত দেওয়া হচ্ছে, মালা পরানো হচ্ছে। বিরোধীরা বলছেন, লালকেল্লা থেকে এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী আগেও বলেছেন। কিন্তু কঠোর শাস্তি না-হলে কী করে বন্ধ হবে এমন ঘটনা?
গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময় থেকেই মহিলাদের মধ্যে মোদীর জনপ্রিয়তা তুলে ধরত বিজেপি শিবির। মহিলাদের বড় ভোটব্যাঙ্ক হিসেবেও দেখে বিজেপি। কিন্তু সম্প্রতি নারী নির্যাতন যে ভাবে বেড়েছে, তাতে রাহুল গাঁধীরা সেই ভোটব্যাঙ্কে থাবা বসাতে শুরু করেছেন। তাই আজ লালকেল্লায় মোদীর বক্তৃতায় অনেকটা অংশ জুড়ে রইল মহিলাদের প্রসঙ্গই।