দূষণের মেঘে ঢাকা রাজধানী। ছবি: পিটিআই।
কলকাতায় নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। এ বার রাজধানীতেও আতসবাজিতে রাশ টানল জাতীয় পরিবেশ আদালত। আজ সোমবার মধ্যরাত থেকেই দিল্লি ও সংলগ্ন অন্তত ২৪টি জেলায় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা হল সব রকম বাজি-পটকা। নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। তবে শুধু দিল্লি নয়, দূষণের মাত্রা বেশি, এমন শহরগুলিতেও বেশ কিছু বিধিনিষেধ আরোপের নির্দেশ দিয়েছে পরিবেশ আদালত। সক্রিয় হওয়ার কথা বলেছে রাজ্যগুলির দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদকেও।
দূষণ নিয়ে জনস্বার্থ মামলায় কয়েক দিন আগেই রাজ্যের সর্বত্র সব ধরনের বাজি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে রায় দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই পথে হেঁটে সোমবার বাজি নিয়ে কড়া অবস্থান নিল জাতীয় পরিবেশ আদালতও। দিল্লি এবং ন্যাশনাল ক্যাপিটাল রিজিওন (এনসিআর) এলাকায় দেওয়ালির প্রায় এক সপ্তাহ আগেই সব ধরনের বাজি পোড়ানো নিষিদ্ধ ঘোষণা করল। পুরো নভেম্বর মাস জুড়ে আর কোনও বাজিই পোড়ানো যাবে না।
এই নিষেধাজ্ঞা মূলত রাজধানী দিল্লির কথা মাথায় রেখে দেওয়া হলেও দেশের আরও বেশ কিছু শহরেও কার্যকর করার কথাও বলেছে পরিবেশ আদালত। রায়ে বলা হয়েছে, ‘‘গত বছর নভেম্বরে যে সব শহরে হাওয়ায় গুণমান খারাপ বা খুব খারাপ ছিল, সেই সব শহরেও এই নির্দেশিকা থাকবে। আবার যে শহরগুলিতে বায়ু দূষণের মাত্রা মোটামুটি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রয়েছে, সেখানেও শুধুমাত্র ‘গ্রিন বাজি’ পোড়ানোর অনুমতি দেওয়া হবে।’’
আরও পড়ুন: হার মেনে নাও, পরামর্শ মেলানিয়ার, ট্রাম্প নাছোড়ই
আরও পড়ুন: পরশু থেকে লোকাল: শিয়ালদহ, হাওড়ায় ৬১৫টি ট্রেন চলবে
আর বায়ুদূষণের মাত্রা তেমন বেশি নয়, এমন শহরগুলির ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারকে বাজি পোড়ানোর সময় নির্দিষ্ট করে দেওয়ার সুপারিশও করেছে পরিবেশ আদালত। তবে কোনও বিধিনিষেধ না থাকলে সেখানে এক ঘণ্টা বা দু’ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছে পরিবেশ আদালত। রায়ে বলা হয়েছে, ‘‘নির্দিষ্ট করে কিছু বলা না থাকলে দেওয়ালি ও গুরুপরবে রাত ৮টা থেকে ১০টা, ছট পুজোয় সকাল ৬টা থেকে ৮টা এবং ক্রিসমাস ও নিউইয়ার-এ রাত ১১টা ৫৫ মিনিট থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত বাজি পোড়ানো যাবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy