Advertisement
E-Paper

আগে সন্ত্রাসের মোকাবিলা, তার পরে কথা

জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়াটা আগে জরুরি। তার পরেই চলতে পারে কূটনৈতিক আলোচনা। আজ পাকিস্তান নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বুঝিয়ে দিলেন বিদেশসচিব এস জয়শঙ্কর। তাঁর কথায়, ‘‘জঙ্গি হামলার পরে যদি প্রশ্ন করা হয় সন্ত্রাসের মোকাবিলা না কূটনৈতিক দৌত্য, সরকারের অগ্রাধিকার এখন কোনটা? আমার মনে হয় উত্তরটা খুবই সহজ।’’

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ মার্চ ২০১৬ ০৩:২২

জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়াটা আগে জরুরি। তার পরেই চলতে পারে কূটনৈতিক আলোচনা।

আজ পাকিস্তান নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বুঝিয়ে দিলেন বিদেশসচিব এস জয়শঙ্কর। তাঁর কথায়, ‘‘জঙ্গি হামলার পরে যদি প্রশ্ন করা হয় সন্ত্রাসের মোকাবিলা না কূটনৈতিক দৌত্য, সরকারের অগ্রাধিকার এখন কোনটা? আমার মনে হয় উত্তরটা খুবই সহজ।’’

গত কাল থেকে দিল্লিতে শুরু হয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার যোগাযোগ এবং ভূ-রাজনীতি সংক্রান্ত একটি আন্তর্জাতিক আলোচনাচক্র— ‘রাইসিনা ডায়লগ’। উপস্থিত রাষ্ট্রনেতাদের মধ্যে রয়েছেন বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী আবুল হাসান মামুদ আলি, আফগানিস্তানের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই, শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট চন্দ্রিকা কুমারতুঙ্গা প্রমুখ। রয়েছেন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজও। এই সম্মেলনে উঠে এসেছে সন্ত্রাস দমন প্রসঙ্গ। কেউ নাম করে, কেউ নাম না করে টেনে এনেছেন পাকিস্তানকে। ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের উন্নতি না হলে যে দক্ষিণ এশিয়ার সার্বিক অর্থনৈতিক, যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং নিরাপত্তার উন্নতি ঘটবে না— এ ব্যাপারে সরব হয়েছেন সকলেই।

পঠানকোটের হামলার পরে অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ রয়েছে ভারত-পাকিস্তান প্রস্তাবিত বিদেশসচিব পর্যায়ের বৈঠক। জইশ নেতা মাসুদ আজহার সম্পর্কে যাবতীয় তথ্যপ্রমাণ ভারত ইসলামাবাদের হাতে তুলে দেওয়ার পরেও এখনও পর্যন্ত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়নি নওয়াজ সরকার। আজ জয়শঙ্করের বক্তব্য থেকে স্পষ্ট, পঠানকোটের হামলা নিয়ে পাকিস্তান দৃষ্টান্তমূলক কোনও ব্যবস্থা না নেওয়া পর্যন্ত দু’দেশের বিদেশ সচিব পর্যায়ের বৈঠকে অগ্রসর হবে না নয়াদিল্লি।

আজ নাম না করে পাকিস্তানকে নিশানা করেছেন জয়শঙ্কর। আফগানিস্তান-পাকিস্তান সীমান্তে তালিবানদের পুনরুত্থানে ইসলামাবাদের সক্রিয় ভূমিকা রয়েছে বলেই মনে করে সাউথ ব্লক। এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বিভাগের কাছে নির্দিষ্ট তথ্য রয়েছে। জয়শঙ্করের কথায়, ‘‘এশিয়ার দেশগুলির মধ্যে যোগাযোগ বাড়ানোর জন্য সবচেয়ে বড় বাধা আমাদের উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত। অর্থনৈতিক সহযোগিতা, বাণিজ্যে প্রধান বাধা এই এলাকায় পণ্য যাতায়াতে অনুমোদন না পাওয়া।’’ পাকিস্তানের মধ্যে দিয়ে আফগানিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য করার জন্য ইসলামাবাদের কাছে দীর্ঘ দিন দরবার করছে নয়াদিল্লি। কিন্তু সাড়া তো মেলেই নি বরং
আফগানিস্তানের মাটিতে ভারতের সক্রিয়তাকে চিরকালই বাঁকা চোখে দেখে এসেছে পাকিস্তান। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে হামিদ কারজাই বলেন, ‘‘পাকিস্তান বরাবরই চেষ্টা করে এসেছে দীর্ঘ দিনের প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ককে প্রভাবিত করতে।’’ বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রীর কথায়, ‘‘সন্ত্রাসবাদ, মৌলবাদের মতো বিষয় বিভিন্ন রাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্কের ক্ষতি করে। আমরা এ সব চাই না।’’

pakistan terror india
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy