দেশে করোনা সংক্রমণ আরও ঊর্ধ্বমুখী! ফাইল চিত্র।
আবার চিন্তা করোনা সংক্রমণ নিয়ে। বুধবার সারা দেশে ৩ হাজার ১৬ জন কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিলেন। গত ৬ মাসে সংক্রমণের হারে ওটাই ছিল সর্বোচ্চ। বৃহস্পতিবার সংক্রমণের হার আরও বৃদ্ধি পেল। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে প্রকাশিত শুক্রবারের পরিসংখ্যান বলছে, শেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৩ হাজার ৯৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন। সংক্রমণের নিরিখে প্রথম তিনটি রাজ্য হল দিল্লি, মহারাষ্ট্র এবং উত্তরপ্রদেশ।
বুধবার দিল্লিতে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩০০। এই সংখ্যা বৃহস্পতিবার আরও বেড়েছে। ২৪ ঘণ্টায় কোভিডে আক্রান্ত হয়ে দিল্লির দু’জন বাসিন্দার মৃত্যুও হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবারই স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সৌরভ ভরদ্বাজ। বৈঠক শেষে তিনি জানান যে, যাঁদের করোনার উপসর্গ রয়েছে, তাঁদের মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। এই নিয়ে নির্দেশিকাও জারি করা হয়। শুক্রবার কোভিড পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে জরুরি বৈঠকে বসতে চলেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল। দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী অবশ্য জানিয়েছেন, এখনই এই বিষয়ে উদ্বেগের কোনও কারণ নেই। তার কারণ হিসাবে তিনি জানান, দিল্লিতে নতুন করে কোভিডের কোনও রূপ আর উপরূপের সন্ধান মেলেনি। মূলত কোভিডের পুরনো রূপ এক্সবিবি এবং সেটার উপরূপ ১.১৬-এর জন্য সংক্রমণের হার ঊর্ধ্বমুখী।
বৃহস্পতিবার মহারাষ্ট্রে ৭০০ জন কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। বুধবার এই সংখ্যাটা ছিল ৬৯৪। এর ফলে ওই রাজ্যে সক্রিয় কোভিড রোগীর সংখ্যা ৩০০০ ছাড়িয়ে গেল। সংক্রমণের নিরিখে চিন্তা কারণ সেখানকার দু’টি জেলা। সোলাপুর এবং সাঙলি। মহারাষ্ট্রে কোভিডের চোখরাঙানির নেপথ্যেও ওই রূপ এবং প্রতিরূপকে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। কোভিডের বৃদ্ধির কারণে বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। সংক্রমণের নিরিখে সে রাজ্যের প্রশাসনকে চিন্তায় রেখেছে গাজিয়াবাদ, বুদ্ধনগর, লখিমপুর খেরির মতো জেলাগুলি। কেন্দ্রের তরফে সব রাজ্যকে, বিশেষত এই তিনটি রাজ্যের প্রশাসনকে কোভিড পরীক্ষা বৃদ্ধির উপরে জোর দিতে বলা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy