Advertisement
E-Paper

সীমান্তে কাঁটাতার: এ বার দিল্লিতে বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশনারকে তলব বিদেশ মন্ত্রকের

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া নিয়ে বিতর্কের মাঝে রবিবার ঢাকায় ভারতীয় হাই কমিশনার প্রণয় বর্মাকে ডেকে পাঠিয়েছিল মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৩ জানুয়ারি ২০২৫ ১৫:৩৯
ভারত এবং বাংলাদেশের সীমান্তে একটি বিস্তীর্ণ অঞ্চল কাঁটাতার বিহীন রয়ে গিয়েছে এখনও।

ভারত এবং বাংলাদেশের সীমান্তে একটি বিস্তীর্ণ অঞ্চল কাঁটাতার বিহীন রয়ে গিয়েছে এখনও। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।

এ বার দিল্লিতে বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশনার নুরুল ইসলামকে ডেকে পাঠাল ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক। সোমবার দুপুর নাগাদ তাঁকে দিল্লির সাউথ ব্লকে বিদেশ মন্ত্রকের দফতর থেকে বার হতে দেখা গিয়েছে। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে কাঁটাতার বিতর্কের মাঝে রবিবার ঢাকায় ভারতীয় হাই কমিশনার প্রণয় বর্মাকে ডেকে পাঠিয়েছিল মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। তার এক দিন পরে বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশনারকে তলব দিল্লির।

ভারত এবং বাংলাদেশের সীমান্তে একটি বিস্তীর্ণ অঞ্চল কাঁটাতার বিহীন রয়ে গিয়েছে এখনও। প্রায় ৫৩৮ কিলোমিটার এলাকায় কোনও কাঁটাতার নেই। সম্প্রতি ঢাকা দাবি করেছে, ভারত এবং বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী কিছু অঞ্চলে বিএসএফ কাঁটাতার বসানোর কাজ শুরু করেছে। ইউনূস সরকারের আরও দাবি, এর ফলে ওই অঞ্চলে ‘শান্তিভঙ্গ’ হচ্ছে, দ্বিপাক্ষিক চুক্তিও ভঙ্গ হচ্ছে। মালদহের কালিয়াচকে এবং তার পরে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে কাঁটাতার বসানোর সময় বিজিবির বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে।

এই আবহে রবিবার ঢাকায় ভারতীয় হাই কমিশনার প্রণয়কে ডেকে পাঠায় বাংলাদেশ সরকার। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিব জসীমউদ্দিনের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’-র প্রতিবেদন অনুসারে, জসীমউদ্দিনের সঙ্গে কথা বলার পর প্রণয় জানান, কাঁটাতারের বিষয়ে দু’দেশের মধ্যে বোঝাপড়া রয়েছে। সীমান্তে অপরাধদমনের ক্ষেত্রেও সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) এবং বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে কাজ করবে বলে জানান তিনি। প্রণয় বলেন, “নিরাপত্তার জন্য সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার ব্যাপারে আমাদের মধ্যে বোঝাপড়া রয়েছে। এ ব্যাপারে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ ও বিজিবির মধ্যে আলোচনা হয়েছে। আমরা আশা করি, সীমান্তে অপরাধ দমনের বিষয়ে সহযোগিতার মাধ্যমে সেই বোঝাপড়ার বাস্তবায়ন হবে।” প্রণয় আরও জানিয়েছেন, অপরাধমুক্ত সীমান্ত নিশ্চিত করতে ভারতের যে লক্ষ্য রয়েছে, সেই বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে। পাশাপাশি, চোরাচালান, অপরাধীদের আসা-যাওয়া এবং পাচারের চেষ্টা রোখার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে তাঁদের। এ বার বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশনারকে তলব করল বিদেশ মন্ত্রক।

BSF BGB MEA
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy