বিদেশনীতিতে অগ্রাধিকার মোদী সরকারের। ফাইল চিত্র।
ডিসেম্বরে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী জি-২০-র সভাপতিত্বের দায়িত্ব পাচ্ছে ভারত।
১৯টি উন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের এই গোষ্ঠীর নেতৃত্বকে কাজে লাগিয়ে শিল্প-বাণিজ্য থেকে শক্তি-নিরাপত্তা এবং অর্থনীতির বিভিন্ন দিকে জাতীয় স্বার্থ আদায় করে নেওয়াটা এখন বিদেশনীতিতে অগ্রাধিকার মোদী সরকারের। ঘটনা হল, এই সভাপতিত্বের মেয়াদ (এক বছর) লোকসভা ভোটের মুখ পর্যন্ত থাকবে। ফলে ক্ষমতাসীন দলের সামনে সুযোগ রয়েছে বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নত দেশগুলির কাছ থেকে বিনিয়োগ টানার এবং প্রকল্পকে গতিমুখ দেওয়ার।
মঙ্গলবার বিদেশ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি দিয়ে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে, চাকা গড়ানো শুরু হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ভারত এই মুহূর্তে জি-২০-র ত্রয়ী (বর্তমান, আগের এবং ভবিষ্যতের প্রেসিডেন্ট) গোষ্ঠীতে রয়েছে। এতে ভারতের পাশাপাশি রয়েছে ইন্দোনেশিয়া এবং ইটালি। ভারত যখন সভাপতিত্ব পাবে, তখন ত্রয়ীতে থাকবে ভারত, ইন্দোনেশিয়া এবং ব্রাজিল। বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ কারণ, এই প্রথম বার জি-২০-র ত্রয়ী গোষ্ঠীতে তিনটিই উন্নয়নশীল দেশ থাকছে।’
২০২৩ সালের জি-২০ শীর্ষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে নয়াদিল্লিতে। কিন্তু তার আগে থেকেই বিভিন্ন দেশের মধ্যে আলাপ-আলোচনা শুরু হয়ে যাবে বলে জানাচ্ছে বিদেশ মন্ত্রক। অর্থনীতি, বিশ্বের খাদ্য ব্যবস্থা, বণ্টন ও নিরাপত্তা, কৃষি, স্বাস্থ্য, অর্থনীতি, শক্তি, গণ-পরিকাঠামোর মতো বিভিন্ন বিষয় নিয়ে এই আলোচনা ধাপে ধাপে শুরু হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy