প্রতীকী ছবি।
চিনের সঙ্গে যুঝতে প্রায় ২০০ কোটি ডলার দিয়ে রাশিয়া থেকে আরও একটি পরমাণু শক্তিচালিত ডুবোজাহাজ আনতে চলেছে ভারত। গোয়ায় ব্রিকসের সম্মেলনেই দু’দেশের মধ্যে এ নিয়ে একটি লিজ-চুক্তি হয়েছে বলে রুশ সংবাদ মাধ্যম সূত্রের খবর।
ইতিমধ্যেই একটি আকুলা-২ শ্রেণির উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ডুবোজাহাজ ভারতীয় নৌসেনার হাতে রয়েছে। আইএনএস চক্র নামের সেই জাহাজটিও রাশিয়া থেকে ১০ বছরের জন্য লিজ নেওয়া হয়েছিল ২০১২-য়। যার মেয়াদ ফুরোতে আর দেরি নেই। ঠিক সেই কারণেই গোয়ার মঞ্চে তড়িঘড়ি এই চুক্তি করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রক যদিও এ নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে। সূত্রের খবর, ডুবোজাহাজটি ভারতে আনার পর তা বিশাখাপত্তনম নৌঘাঁটিতে রাখা হবে। ভারতের নিজের তৈরি আইএনএস অরিহন্ত ডুবোজাহাজটিও পরমাণু বিদ্যুৎচালিত। সমুদ্রের গভীরে লুকিয়ে থেকে ব্যালিস্টিক মিসাইল ছোড়ার ক্ষেত্রে এটি যথেষ্ট শক্তিশালী বলে দাবি নৌসেনার। দ্বিতীয় পরমাণু ডুবোজাহাজ, আইএনএস অরিধমান তৈরির কাজও শেষ পর্যায়ে। আইএনএস চক্র-র মতো রাশিয়া থেকে ভাড়া করা এই ডুবোজাহাজটিকে অরিহন্ত, অরিধমানদের মতো পরমাণু শক্তিচালিত ডুবোজাহাজের সুরক্ষায় কাজে লাগানো হবে। ভারত মহাসাগরে চিনের পরমাণু শক্তিচালিত ডুবোজাহাজের গতিবিধি বাড়ছে। এইসব চিনা ডুবোজাহাজের উপর নজরদারি করতেই রাশিয়া থেকে ডুবোজাহাজটি ভাড়া করা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর।
এমনিতেই ডুবোজাহাজের নিরিখে ভারতের নৌসেনার শক্তি চিনের তুলনায় খুবই কম। রাশিয়ার দাবি, আকুলা-২ গোত্রের জাহাজগুলিকে বিশ্বের প্রথম সারির পরমাণু-চালিত হামলাকারী ডুবোজাহাজ হিসেবে গণ্য করা হয়। এর গতি ঘণ্টায় প্রায় ৬৫ কিলোমিটার। টর্পেডো ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে এ’টি শত্রুপক্ষের যুদ্ধজাহাজে হামলা করতে পারে, আবার ডুবোজাহাজ থেকে মাটির উপরেও হামলা করা সম্ভব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy