নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।
গোটা রাত দু’চোখের পাতা এক করতে পারেননি। মঙ্গলবার সকালে ভারতীয় বায়ুসেনা জইশ ঘাঁটি ধ্বংস করে নিরাপদে ফেরার পরই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দ্রুত খোঁজ নেন অপারেশনে যাওয়া ভারতীয় বায়ুসেনা বাহিনীর সদস্যদের। এ ভাবেই ভারতীয় বায়ুসেনার গোটা অপারেশনটি পর্যবেক্ষণ করেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী।
এখানেই শেষ নয়। প্রধানমন্ত্রীর দফতর (পিএমও) সূত্রে খবর, মঙ্গলবার জইশ-ই-মহম্মদের বিরুদ্ধে অভিযান শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই প্রধানমন্ত্রীকে বিশদ রিপোর্ট দেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। তার পরই মঙ্গলবার সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠক বসে দিল্লিতে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা হয় সেখানে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর সকাল সাড়ে ১১টায় সাংবাদিক বৈঠক করেন ভারতের বিদেশসচিব বিজয় গোখেল। তিনি জানান, ফের আত্মঘাতী হামলার ছক কষছিল জইশ। তাই আগেভাগে তাদের রুখতে পদক্ষেপ করা হয়। বালাকোটে জইশের বৃহত্তম প্রশিক্ষণ শিবির গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরই দুপুর সাড়ে ১২টায় সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াতের সঙ্গে বৈঠক করেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। পাক অধিকৃত কাশ্মীরে বায়ুসেনার অভিযানের পর সীমান্ত সংলগ্ন এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যালোচনা করে দেখেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: প্রত্যাঘাতের পর তিন বাহিনীর প্রধানের সঙ্গে বৈঠক মোদীর
কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে সর্বদল বৈঠকের বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হয়। সেইমতোই বিকেল ৫টায় দিল্লিতে জওহরলাল নেহরু ভবনে বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের নেতৃত্বে সর্বদলীয় বৈঠক বসে। রাজনাথ সিংহ, অরুণ জেটলির পাশাপাশি সেখানে হাজির ছিলেন গুলাম নবি আজাদ, ওমর আবদুল্লা। ছিলেন অন্যান্য রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিও।
আরও পড়ুন: ভোরে বিমান হামলা, দিনভর কূটনৈতিক সাফল্য, দিনের শেষে অ্যাডভান্টেজে দিল্লি
পিএমও সূত্রে খবর, মঙ্গলবার দিনভর জইশের বিরুদ্ধে ভারতীয় বায়ুসেনার অভিযান নিয়ে সামগ্রিক ভাবে নজরদারি চালান প্রধানমন্ত্রী। গত রাতে বায়ুসেনা অভিযানে যাওয়ার আগে বেশ উদ্বিগ্ন দেখায় তাঁকে। তবে দিনের শেষে সাফল্যের পর বেশ উজ্জ্বল দেখাচ্ছিল প্রধানমন্ত্রীকে।
(দেশজোড়া ঘটনার বাছাই করা সেরা বাংলা খবর পেতে পড়ুন আমাদের দেশ বিভাগ।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy