আলোচনার টেবিলে আশ্বাস, অন্য দিকে সীমান্তে ভারতকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ— দু’দিকই এক সঙ্গে বজায় রাখছে পাকিস্তান। কাল থেকে দিল্লিতে শুরু হয়েছে বিএসএফ ও পাক রেঞ্জার্সের মধ্যে বৈঠক। অন্যতম আলোচ্য, সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন। কিন্তু, এই দু’দিনও পাক বাহিনী সীমান্তে সংঘর্ষবিরতি ভেঙেছে বলে দিল্লির অভিযোগ। গত কাল সন্ধে সাতটা থেকে জম্মু-কাশ্মীরের পুঞ্চ জেলায় ভিম্বের গালি ও হামিরপুর সেক্টরে গুলি চালায় পাক সেনা। দু’জায়গাতেই সকাল পর্যন্ত চালু ছিল গোলাগুলি। চলছে জঙ্গি সন্ত্রাসও। কাল রাতে জঙ্গি-সেনা সংঘর্ষে হান্দোয়ারায় ২ জওয়ান ও ২ জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। আজ বিএসএফ-রেঞ্জার্স বৈঠকের দ্বিতীয় দিনের আলোচনায় যোগ দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। বৈঠকে রেঞ্জার্সের ডিজি উমর ফারুক বুরকিকে রাজনাথ বলেন, ‘‘ভারত প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখে চলতে যায়। তাই ভারতের পক্ষ থেকে কোনও ভাবেই প্রথমে গুলি ছোড়া হবে না।’’ গত কালের বৈঠকে নাভেদের প্রসঙ্গ টেনে জঙ্গি অনুপ্রবেশের কথা তুলে ধরেছিল ভারত। সেই সূত্র ধরেই রাজনাথ আজ বলেন, ‘‘সন্ত্রাস দু’দেশের সমস্যা। সন্ত্রাস রুখতে দু’দেশকেই এগিয়ে আসতে হবে। বিশেষ করে সীমান্ত সন্ত্রাস ও জঙ্গি অনুপ্রবেশ।’’ জবাবে বুরকি বলেন, ‘‘আমি সেনাবাহিনীর অফিসার মাত্র। তবে ভারতের এই বার্তা আমি ইসলামাবাদে পৌঁছে দেব।’’ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের ব্যাখ্যা, বুরকি বোঝাতে চেয়েছেন, তাঁর হাতে কিছুই নেই। নওয়াজ শরিফ সরকারের উপরে প্রবল চাপ রয়েছে পাক মোল্লাতন্ত্র ও সেনা এবং আইএসআইয়ের। সীমান্তে কী ঘটবে তা স্থির করবে তারাই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy