ভারতীয় রেল এবং গুজরাত সরকারের যৌথ প্রকল্পে সৌন্দর্যায়ন হয়েছে এই রেল স্টেশনের। লক্ষ্য ছিল স্টেশন ও তার সংলগ্ন এলাকাকে একটি দর্শনীয় স্থান করে তোলা। যাতে শুধু যাত্রীরাই নন, স্টেশনটিকে আলাদা করে দেখতেও আসেন পর্যটকরা। রেলের কথায় সেই লক্ষ্যপূরণ হয়েছে। ঠিক কী কী বিশেষ সুবিধা থাকছে নবনির্মিত এই রেলস্টেশনে? এক নজরে দেখে নেওয়া যাক।
গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে স্টেশনের বাইরের সৌন্দর্যায়নেও। বিভিন্ন ‘থিম’ অর্থাৎ ভাবনার উপর ভিত্তি করে নানারকম আলোয় সাজছে গাঁধীনগর স্টেশন। সূর্যাস্তের পর স্টেশনটির দেওয়ালে ক্যানভাসের মতোই নানারকম ছবি ফুটিয়ে তোলা হবে আলোর সাহায্যে। রেল জানিয়েছে, এই আলোর ছবি আরও আকর্ষণীয় হবে যখন স্টেশনের আলো উল্টোদিকের ডান্ডি কুটিরের আলোর সঙ্গে মিলবে। ৭৭ মিটার উচ্চতার এই ভবনটির দেওয়ালে আলোর খেলা দেখার মতো হবে বলে জানিয়েছে রেল।
স্টেশনের ভিতরেই থাকবে বিভিন্ন রিটেল ব্র্যান্ডের মিনি আউটলেট বা ছোট ছোট দোকান। এমনকি বিভিন্ন নামি সংস্থার খাবার এবং মনোরঞ্জনের ব্যবস্থাও থাকবে স্টেশন চত্বরেই। ইতিমধ্যেই বিগ বাজার, শপার স্টপের মতো ব্র্যান্ড এ ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছে। রেল জানিয়েছে স্টেশনটিকে ‘সিটি সেন্টার রেল মল’ হিসেবে বানাতে চাইছে তারা।
তবে শুধু গাঁধীনগর নয়। আগামী দিনে আরও বহু স্টেশন এভাবেই সাজানোর কথা ভাবছে রেল। তারা জানিয়েছে দেশের মোট ১২৫টি স্টেশন এভাবে সাজানো হবে। এর মধ্যে ভোপাল এবং বেঙ্গালুরুর কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। কাজ চলছে উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যা, দিল্লির বিজবাসন, সফদরজং, লখনউয়ের গোমতি নগর এবং নাগপুরের আজনী রেল স্টেশনের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy