জম্মু, অমৃতসর, চণ্ডীগড়, লেহ, শ্রীনগর এবং রাজকোটের সকল বিমান পরিষেবা মঙ্গলবার বাতিল করল ইন্ডিগো। সোমবার বিবৃতি দিয়ে ওই উড়ান সংস্থা জানিয়েছে, সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে যাত্রীদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে মঙ্গলবার জম্মু, অমৃতসর, চণ্ডীগড়, লেহ, শ্রীনগর এবং রাজকোটের সব উড়ান বাতিল করা হয়েছে। ওই বিবৃতিতে যাত্রীদের উদ্দেশে আরও বলা হয়েছে, বিমানবন্দরে পৌঁছোনোর আগে ইন্ডিগোর ওয়েবসাইট বা অ্যাপে ‘ফ্লাইট স্টেটাস’ দেখে নেওয়ার কথা।
আরও পড়ুন:
বর্তমানে প্রায় সব আন্তর্জাতিক উড়ান পাকিস্তানের আকাশসীমা এড়িয়ে পশ্চিম এশিয়া বা ইউরোপে যাতায়াত করছে। এর পাশাপাশি, উত্তর ও পশ্চিম ভারতের আকাশসীমাতেও নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বেশির ভাগ বিমান কলকাতা থেকে পথ পরিবর্তন করে নাগপুর, মুম্বই হয়ে আরব সাগরের উপর দিয়ে পশ্চিম এশিয়া বা ইউরোপের দিকে যাচ্ছে। এর জেরে বিমানের বিপুল জ্বালানি খরচ বৃদ্ধি পাওয়া ছাড়াও কলকাতার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের উপরে কাজের চাপ বহুলাংশে বেড়ে গিয়েছে। পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশ থেকে আসা আন্তর্জাতিক উড়ানগুলিও কলকাতা-নাগপুর হয়ে যাতায়াত করছে। কলকাতা বিমানবন্দর থেকেও একাধিক বিমান ঘুরপথে যাতায়াত করছে। উড়ান সংস্থাগুলি রুট বদল করেছে বেশ কিছু ক্ষেত্রে। ঘুরপথে যাতায়াতের জন্য উড়ানে সময়ও বেশি লাগছে। পরিস্থিতির মোকাবিলায় এয়ার ইন্ডিয়া বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের কাছে তাদের পাইলট এবং বিমানকর্মীদের কাজের সময় পুনর্বিন্যাসের অনুমতি নিয়েছে।
নিরাপত্তা বাড়ানোর নির্দেশের পাশাপাশি ১৫ মে পর্যন্ত উত্তর, পশ্চিম এবং মধ্য ভারতের একাংশের মোট ২৭টি বিমানবন্দর বন্ধ রাখার নির্দেশও জারি করা হয়েছে। উত্তর এবং পশ্চিম ভারতের আকাশসীমায় সম্পূর্ণ বন্ধ রাখা হয়েছে অসামরিক বিমানের ওড়া। ওই সব বিমানবন্দরে উড়ান চলাচলে নিষেধাজ্ঞার কারণে দৈনিক গড়ে ৪০০টির বেশি উড়ান বাতিল হচ্ছে। কলকাতার ক্ষেত্রে দিনে ১০-১২টি উড়ান বাতিল হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।