ধৃত অন্যতম অভিযুক্ত অনিল।
প্রতিবেশীকে ফাঁসানোর ছক কষেছিলেন তিনি। আর সেই পরিকল্পনা সফল করতে দুই আত্মীয়কে কাজে লাগিয়ে নিজের উপর হামলা করালেন এক ব্যক্তি। আর এই পুরো ছকটা তৈরি করেছিলেন ২০১৫ সালের অজয় দেবগণ অভিনীত ‘দৃশ্যম’ ছবি দেখে! ঘটনাটি দিল্লির।
প্রতিবেশী ওমবীরের মাকে ২০১৯-এ খুন করার অভিযোগে জেলে গিয়েছিলেন উত্তর দিল্লির মঞ্জু কা টিলার বাসিন্দা অমর পাল। গত ২৯ মে ৬০ দিনের জন্য জামিনে ছাড়া পেয়েছেন তিনি। অভিযোগ, জামিনে ছাড়া পাওয়ার পর থেকেই ওমবীরের পরিবারের উপর এই খুনের মামলায় সাক্ষ্য না দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করতে থাকেন অমর। ওমবীরের পরিবারকে ধমকানোর পরও যখন অমর ব্যর্থ হন, তখন ওমবীরকে ফাঁসানোর পরিকল্পনা করেন।
এই কাজে অমর তাঁর নিজের ভাই গুড্ডু এবং খুড়তুতো ভাই অনিলকে শামিল করেন। একটা গল্প ছকেন অমর। সেই গল্পে দৃশ্যটা এমন ভাবে তৈরি করার চেষ্টা করেন যাতে প্রমাণিত হয় যে, অমরের উপর হামলা চালিয়ে তাঁকে খুন করার চেষ্টা করেছেন ওমবীর। আর এর জন্য তাঁর দুই ভাইকে ‘দৃশ্যম’ ছবিটি ভাল করে এবং বার বার দেখতে বলেন।
পরিকল্পনা মাফিক, এলাকার বাসিন্দাদেরও তিনি বোঝাতে সক্ষম হন যে ওমবীর তাঁকে মারার হুমকি দিচ্ছেন। প্রতিশোধ নিতে চাইছেন। অমর একটা দেশি বন্দুক এবং কিছু কার্তুজ কেনেন। সেই বন্দুক দিয়ে তাঁর উপর হামলা চালানোর ছক কষেন। অমর জানতেন, ওমবীর প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট রেস্তরাঁয় যান। সেই মতো আগে থেকেই সেখানে হাজির হয়েছিলেন অমর এবং তাঁর দুই ভাই। কিন্তু তাঁরা একে অপরকে না চেনার ভান করেই দূরত্ব বজায় রাখছিলেন। ইতিমধ্যেই ওই রেস্তরাঁয় তাঁর পরিচিত লোকজনকে অমর বোঝাতে সক্ষম হয়েছিলেন যে, ওমবীর তাঁকে প্রাণে মারার ছক কষছেন। প্রায় ঘণ্টাখানেক রেস্তরাঁয় অপেক্ষা করার পর অমরের ইঙ্গিতেই গুড্ডু এবং অনিল তাঁর উপর গুলি চালান। তার পর সেখান থেকে পালিয়ে যান।
পুলিশের কাছে অমরের পরিবার ওমবীরের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ আনেন। কারা গুলি চালিয়েছিল, তা নিয়ে তদন্ত শুরু করতেই প্রথমে অনিলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁকে গ্রেফতার করতেই আসল ঘটনাটা সামনে আসে। ওমবীরকে ফাঁসানোর জন্য অমর কী ভাবে পরিকল্পনা করেছিলেন, পুলিশের কাছে জানান অনিল। তাঁর কাছ থেকে বন্দুকও উদ্ধার হয়। পুলিশ জানিয়েছে, অমর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ছাড়া পেলেই তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy