ব্যপমের শিকড় বিহারেও। তদন্তকারীদের দাবি, চক্রীদের অনেকেই বিহারের বাসিন্দা। অন্যের হয়ে নিয়মিত পরীক্ষায় বসেছেন এমন অন্তত আট জন মেডিক্যাল ছাত্রের খোঁজ এখনও পর্যন্ত পেয়েছে মধ্যপ্রদেশ পুলিশ। তাদের বাড়ি বিহারের বিভিন্ন জেলায়। গোটা ঘটনার তদন্তে রবিবার রাত থেকে বিহারের কয়েকটি এলাকায় বিহার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে অভিযানও চালিয়েছে মধ্যপ্রদেশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)। তবে তদন্ত নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন তাঁরা।
রাজ্য প্রশাসন সূত্রের খবর, রবিবার গভীর রাতে পশ্চিম চম্পারনের বেতিয়া সরকারি মেডিক্যাল কলেজে অভিযান চালায় এসটিএফ। এক জন নির্দিষ্ট ছাত্রের খোঁজেই অভিযান চালায় তারা। অভিযুক্তকে না পাওয়ায় কলেজের অধ্যক্ষ রাজীবরঞ্জন প্রসাদের সঙ্গে কথা বলেন তদন্তকারী অফিসারেরা। কলেজ থেকে বেশ কিছু নথি-সিডি নিয়ে যান তাঁরা। সেই সিডি দেখেই অভিযুক্তকে শনাক্ত করার চেষ্টা হবে। তদন্তে ওই কলেজের আরও কয়েক জন ছাত্রের নামও উঠে আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। বেতিয়া সরকারি মেডিক্যাল কলেজের ওই ছাত্র ছাড়াও আরও সাত জনের খোঁজ চলছে। এর মধ্যে পটনা মেডিক্যাল কলেজের এক ছাত্র রয়েছে। রয়েছে সমস্তিপুর, সীতামঢ়ী ও মুজফ্ফরপুরের কয়েক জন। এই ছাত্ররাই মোটা টাকা নিয়ে মধ্যপ্রদেশে গিয়ে অন্যের নামে পরীক্ষা দিয়ে এসেছে বলে অভিযোগ।
মধ্যপ্রদেশের পরীক্ষা দু্র্নীতির তদন্ত ও গ্রেফতারি শুরু হয় ২০১৩ থেকে। ওই বছরই প্রি-মেডিক্যাল পরীক্ষা দেওয়ার সময়ে ইনদওর পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ ২০ জনকে গ্রেফতার করে। তাদের মধ্যে ১৭ জনই ছিল উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। এর পরে কম করে ৩১৭ জন পুলিশের কাছে বলে, তারা ডাক্তারি পড়ার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য জগদীশ সাগর নামে এক চিকিৎসককে টাকা দিয়েছেন। এই জগদীশ সাগরই বিহারের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ থেকে ছাত্রদের পরীক্ষা দিতে নিয়ে যেতেন বলে অভিযোগ। জগদীশ সাগর ছাড়া সুধীর রাই, সন্তোষ গুপ্ত ও তরঙ্গ শর্মা নামে তিন জনকে গ্রেফতার করেছে এফটিএফ।
ব্যপম দু্র্নীতি নিয়ে কেন্দ্রের নিন্দা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। তিনি বলেন, ‘‘দিনের পর দিন মৃত্যু হচ্ছে, অথচ সরকার কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না! এটা আশ্চর্যের।’’ সুপ্রিম কোর্টের তদারকিতে স্বতন্ত্র সংস্থাকে দিয়ে তদন্ত করানোর দাবি জানান নীতীশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy