Advertisement
E-Paper

উপনির্বাচন নিয়ে কি ভয়ে বিজেপি

গোরক্ষপুরের সাংসদ পদত্যাগ করে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর গদিতে বসেছেন। ওই রাজ্যেরই ফুলপুরের সাংসদ ছিলেন কেশবপ্রসাদ মৌর্য। সাংসদ পদে ইস্তফা দিয়ে এখন উপমুখ্যমন্ত্রী। তাঁদের লোকসভা আসনে উপনির্বাচন নিয়ে চাপে পড়েছে বিজেপি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ জানুয়ারি ২০১৮ ০৪:১৪

গোরক্ষপুরের সাংসদ পদত্যাগ করে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর গদিতে বসেছেন। ওই রাজ্যেরই ফুলপুরের সাংসদ ছিলেন কেশবপ্রসাদ মৌর্য। সাংসদ পদে ইস্তফা দিয়ে এখন উপমুখ্যমন্ত্রী। তাঁদের লোকসভা আসনে উপনির্বাচন নিয়ে চাপে পড়েছে বিজেপি।

উলুবেড়িয়া ও রাজস্থানের দু’টি লোকসভা আসনে উপ-নির্বাচন হবে ২৯ জানুয়ারি। কিন্তু প্রায় একই সময়ে ফাঁকা হওয়া গোরক্ষপুর-ফুলপুর লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন এখনও ঘোষণা করেনি নির্বাচন কমিশন। উপনির্বাচন বাকি বিহারের আড়ারিয়া আসনেও। বিরোধীরা প্রশ্ন তুলেছে, তিনটি আসনে উপনির্বাচন ঘোষিত হল, কিন্তু অন্য তিনটিতে কেন হল না? বিজেপি কি তবে ভয় পাচ্ছে? কংগ্রেস, সিপিএমের মতো বিরোধী দলগুলির মতে, ভোটে হারার ভয়েই ওই আসনগুলিতে উপনির্বাচনে যেতে ভয় পাচ্ছে বিজেপি।

উত্তরপ্রদেশের কংগ্রেস নেতা অখিলেশপ্রতাপ সিংহ বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী, উপমুখ্যমন্ত্রী, দু’জনেই এত শঙ্কিত যে তাঁরা বিধানসভার ভোটে না লড়ে, বিধান পরিষদে নির্বাচিত হয়েছেন। বিজেপি বুঝে গিয়েছে, এখন ভোট হলে মুখ পুড়বে।’’ সিপিএমের সীতারাম ইয়েচুরি বলেন, ‘‘বিজেপি মুখেই একসঙ্গে লোকসভা ও বিধানসভা ভোট করার কথা বলে। কিন্তু হিমাচলের সঙ্গে গুজরাতের ভোট করতেই ভয় পায়। এখন দেখা যাচ্ছে, লোকসভা উপনির্বাচনও একসঙ্গে করতে ভয় পাচ্ছে।’’

এ ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকার কথা তুলেছেন ইয়েচুরি। তাঁর বক্তব্য, ‘‘গুজরাতের ভোট ঘোষণার পরে আবার কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। গণতন্ত্রের স্বার্থে নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা মেঘাচ্ছন্ন হতে পারে না।’’

প্রশ্ন বিজেপির ভয়টা কীসের? দলীয় সূত্র বলছে, গোরক্ষপুরের হাসপাতালে শিশুমৃত্যুর ঘটনা এখনও মানুষের স্মৃতিতে টাটকা। আদিত্যনাথ যেখানকার দীর্ঘদিনের সাংসদ, সেখানেই এই ঘটনায় গোরক্ষপুরের মানুষ তো বটেই, গোটা রাজ্যের মানুষের মনেই প্রশ্ন রয়েছে। রয়েছে অন্য আশঙ্কাও। রাজ্যসভা থেকে পদত্যাগের পরে মায়াবতী নিজে ফুলপুর থেকে লড়তে পারেন। অখিলেশ যাদবের প্রস্তাব, বিধানসভার মতো লোকসভা উপনির্বাচনে গোরক্ষপুরে কংগ্রেস-সমাজবাদী পার্টির জোট হোক। ফুলপুরে মায়াবতী প্রার্থী হলে কংগ্রেস, সমাজবাদী পার্টি (সপা), দুই দলই তাঁকে সমর্থন করতে পারেন। কংগ্রেস ভোট ঘোষণার আগেই সপা-র সঙ্গে জোট হবে কি না, সেই তাস দেখাতে চাইছে না। তবে বিজেপির সমস্যা হল, বিরোধীরা একজোট হলে মুখ্যমন্ত্রী, উপমুখ্যমন্ত্রীর আসন সঙ্কটে পড়বে। হেরে গেলে মুখ পুড়বে যোগী ও তাঁর দলের। বিজেপি তাই জল মাপছে।

Uttar Pradesh bypoll BJP Yogi Adityanath Keshav Prasad Maurya কেশবপ্রসাদ মৌর্য
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy