কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ ও জাতীয় সড়ক মন্ত্রী নিতিন গডকড়ী। -ফাইল ছবি।
কম করে তিন বার নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহকে প্রকাশ্যে চ্যালেঞ্জ ছুড়েছেন এ যাবত। কম করে তিন বিরোধী দলের কুর্নিশও পেয়েছেন। তিনি মোদী সরকারের মন্ত্রী নিতিন গডকড়ী। আচমকাই বিরোধীদের নয়নের মণি হয়ে উঠেছেন গডকড়ী।
পাঁচ রাজ্যে হারের পর এখনও তার দায় নেননি অমিত শাহ। কিন্তু গডকড়ী সাফ বুঝিয়ে দিয়েছেন, সভাপতিকেই এই দায় নিতে হয়। মোদীকেও পরোক্ষে বিঁধে বলেছেন, ভাল বক্তা হলে কিংবা নিজেকে সবজান্তা ভাবলেই ভোট পাওয়া যায় না। নেহরুর প্রশস্তিও
শোনা গিয়েছে গডকড়ীর মুখে। বিজেপির ভিতরেই বিক্ষুব্ধ, অসন্তুষ্ট এনডিএ-র শরিক আর বিরোধীদেরও বুঝতে কোনও অসুবিধা হচ্ছে না, সঙ্ঘের মদতপুষ্ট এই নেতার মন্তব্য আসলে মোদীর বিকল্প হয়ে ওঠার জন্য। সে কারণেই গডকড়ীর তারিফ আসতে শুরু করেছে বিরোধী শিবির থেকে।
সংসদ চত্বরে আজ কংগ্রেসের একাধিক নেতা বলেন, ‘‘গডকড়ী যে কথা বলছেন, মোদীর সেই পরামর্শ মেনে চলা উচিত।’’ এমনকি রাজস্থানের নতুন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌতও গডকড়ীর তারিফ করেন। গত কাল তৃণমূলের নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েনও গডকড়ীর মন্ত্রকের কাজের ভূয়সী প্রশংসা করেন। যদিও তিনি এই তারিফ করেছেন সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে। কিন্তু সাফ জানিয়েছেন, কমিটিতে সব দলের প্রতিনিধিরই একই মত। আর অরবিন্দ কেজরীবালও বলেছেন, দিল্লির আপ সরকারের উপর গডকড়ী যে উদারতা দেখিয়েছেন, তা অন্য বিজেপি শাসিত রাজ্যের থেকেও বেশি।
এখানেই শেষ নয়। গত কাল বিজ্ঞান ভবনে একটি সরকারি অনুষ্ঠানে একই মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন কেজরীবাল আর গডকড়ী। কেজরীবাল বক্তব্য রাখতে শুরু করলেই দর্শক আসন থেকে বিজেপির কর্মীদের একাংশ কাশতে শুরু করেন। যার ফলে বক্তৃতা মাঝপথে থামাতে হয় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে। গডকড়ী তখন হস্তক্ষেপ করে বলেন, ‘‘এটি সরকারি অনুষ্ঠান। আপনারা চুপ করুন।’’
কংগ্রেসের এক নেতার কথায়, ‘‘গডকড়ী হলেন আরএসএসের প্ল্যান-বি। বিজেপি যদি পরের লোকসভায় পর্যান্ত সংখ্যা নিয়ে আসতে না পারে, তা হলে শরিকরাই মোদীর বদলে গডকড়ীর মতো কোনও নেতাকে প্রধানমন্ত্রী দেখতে চাইবে।’’ তাঁর ব্যাখ্যা, রাজনাথ সিংহও এই দৌড়ে রয়েছেন। কিন্তু মোদী হটলে বিরোধী শিবিরের অনেকেও গডকড়ীর নামে রাজি হয়ে যেতে পারে। দক্ষিণের দলগুলির সঙ্গেও তাঁর ভাল সম্পর্ক। আবার মহারাষ্ট্রে শিবসেনা ও এনসিপি-র সঙ্গে সুসম্পর্ক তাঁর। এমনকি কয়েক মাস আগে রায়বরেলীতে একটি প্রকল্পের জন্য খোদ সনিয়া গাঁধীও ধন্যবাদ জানিয়ে গডকড়ীকে চিঠি লেখেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy