পঞ্জাবে আবার বড় ধরনের সন্ত্রাসবাদী হামলার ছক কষেছে আইএসআই। ওই হামলা চালানোর জন্য গত দু’মাস ধরে অন্তত পনেরো-কুড়ি জন জঙ্গিকে পাকিস্তানে অস্ত্র প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। শেখানো হয়েছে গুরমুখি ভাষা। ওই জঙ্গিদের শেখানো হয়েছে পঞ্জাবিদের আচার-আচরণ, আদবকায়দা ও ধর্মীয় অনুশাসন।
পঞ্জাবে হামলা চালানোর জন্য আইএসআইয়ের ওই প্রস্তুতির খবর দিয়ে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলির তরফে সতর্ক বার্তা পাঠানো হয়েছে পঞ্জাব সরকারের কাছে।
সেই সতর্ক বার্তা পাওয়ার পর পঞ্জাব পুলিশও নড়েচড়ে বসেছে। এ ব্যাপারে যাবতীয় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পঞ্জাব পুলিশের এক পদস্থ কর্তা এ মাসের গোড়ায় সবকটি জেলার পুলিশ কর্তাদের চিঠি দিয়েছেন। সেই চিঠিতে লেখা হয়েছে, ‘‘কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার অমৃতসর শাখা জানিয়েছে, যে পনেরো-কুড়ি জন জঙ্গিকে এ বার পঞ্জাবে হামলার জন্য পাকিস্তানে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে, তারা ২৬/১১-র মুম্বই হামলার ‘মাস্টার মাইন্ড’ হাফিজ সইদের কাছেও অস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণ নিয়েছিল। পঞ্জাবিদের গুরমুখি ভাষা, আচার-আচরণ, আদবকায়দা ও ধর্মীয় অনুশাসন গত দু’মাস ধরে ওই জঙ্গিদের শেখানো হয়েছে পাকিস্তানের গুরুদোয়ারা সাহিবে। এ ব্যাপারে জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে খালিস্তান জিন্দাবাদ ফোর্সের প্রধান রঞ্জিত সিং।’’
গত এক দশকের মধ্যে পঞ্জাবে জঙ্গি হামলার সবচেয়ে বড় ঘটনাটি ঘটেছিল জুলাইয়ে। ওই সময় গুরুদাসপুর পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা চালিয়েছিল পাকিস্তানে প্রশিক্ষিত জঙ্গিরা। তাতে তিন জন পুলিশকর্মীর মৃত্যু হয়। জখম হন আরও পাঁচ পুলিশকর্মী। ওই সময় অমৃতসর-পাঠানকোট রেললাইনের একটি জায়গা থেকে না ফাটা পাঁচটি শক্তিশালী বোমাও উদ্ধার করা হয়।
রাজ্যের অকালি দল ও বিজেপি-র জোট সরকারের উষ্মার আরও কারণ, এ মাসের গোড়ার দিকে বার্গারিতে গুরু গ্রন্থসাহিবের কয়েকটা ছেঁড়া পাতা উদ্ধারের পর পঞ্জাবের বিভিন্ন জায়গায় প্রতিবাদ, বিক্ষোভ, সমাবেশ, বন্ধ। ওই ঘটনাই গত ন’ মাসের মধ্যে প্রথম রাজ্যের জোট সরকারকে বেশ বিপাকে ফেলে দিয়েছে। কাল ওই ঘটনার দুই প্রধান অভিযুক্তকে পুলিশ ফরিদকোটে গ্রেফতার করেছে।
পঞ্জাবে আবার হামলা চালানোর ব্যাপারে আইএসআইয়ের প্রস্তুতি নিয়ে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলির কাছ থেকে আসা সতর্ক বার্তা রাজ্য প্রশাসনের উদ্বেগ আরও বাড়িয়ে দিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy