“আমাদের বানানো এক্সপ্রেসওয়ে বোধ হয় মানুষের পছন্দ হয়নি। ওঁরা তাই বুলেট ট্রেনকে ভোট দিয়েছেন! (উত্তরপ্রদেশে পরাজয় প্রসঙ্গে)” —অখিলেশ যাদব।
এই দিনটারই অপেক্ষায় যেন ছিলেন শিবপাল যাদব। নরেন্দ্র মোদীর রথের ধাক্কায় ভাইপো অখিলেশ যাদবের সাইকেল ছিটকে যেতেই ফোঁস করে উঠলেন, “এটা সমাজবাদীদের হার নয়। অহঙ্কারীদের হার।” আজ পাল্টা ফোঁস করার দিন নয়। অখিলেশ তাই হারের যন্ত্রণা চেপে, মুখে হাসি টেনে বলছেন, “আপনারা তো আমার ব্যবহার জানেন। বোধহয় আমার ছায়ার অহঙ্কার নিয়ে কথা বলছে।”
মুলায়ম-শিবপাল শিবিরের মূল আপত্তি ছিল কংগ্রেসের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধা নিয়ে। আজ ভরাডুবির পরেও অখিলেশ বলেছেন, রাহুলের হাত তিনি ছাড়ছেন না। সুতরাং বিবাদের আশু নিষ্পত্তির লক্ষণ নেই। শিবপাল নিজে জিতলেও ঘনিষ্ঠ মহলে বলেছেন, ভাইপো তাঁকে হারানোর চেষ্টা করেছিল। তিনি আলাদা দল তৈরি করতে পারেন বলে আগেই ঘোষণা করেছিলেন। অখিলেশ-শিবিরের এক নেতার প্রতিক্রিয়া, “করুক। আরও ডুববে।”
শনিবার দুপুরে লখনউয়ের বিক্রমাদিত্য মার্গে সপা দফতরে শ্মশানের ছবি। রাজ্য সভাপতি নরেশ উত্তম পটেলের ঘরে সবাই এমন ভাবে টিভির দিকে তাকিয়ে বসে, যেন মৃতদেহ ঘিরে শোকপালন চলছে। বাইরে গাছতলার জটলায় হতাশ, ক্ষুব্ধ সপা-নেতারা বলছেন, এই প্রথম কর্মীদের দোষে নয়, নেতাদের দোষে দল হারল। এক জনের কথা শুনে চললে অন্য জন দল থেকে তাড়িয়ে দেবেন। এঁর পা ছুঁলে ওঁর গোসা হবে। এ ভাবে চলতে পারে না।
আরও পড়ুন: অমিতের কৌশলেই বিপুল জয়
সমাজবাদী পার্টির অন্দরে প্রশ্ন আপাতত দু’টো। অখিলেশ কি হারের দায় নেবেন? জবাবে অখিলেশ বলছেন, আগে হারের সমীক্ষা, তার পর দায় নেওয়ার প্রসঙ্গ। দ্বিতীয়ত, মুলায়মের সিংহ গর্জন কি ফের শোনা যাবে। আজ রাত পর্যন্ত সে প্রশ্নের জবাব মেলেনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy